পার্বত্য শান্তি চুক্তি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার

আগের সংবাদ

‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিদেশিদের বিনিয়োগের আহ্বান

পরের সংবাদ

এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ : তুর্কমেনিস্তানকে উড়িয়ে উড়ন্ত সূচনা মেয়েদের

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে গতকাল এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী বাছাই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ শুভ সূচনা করেছে। তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জিতেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। উচ্চতা ও শারীরিক গড়নে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ছিল তুর্কমেনিস্তানের মেয়েরা। কিন্তু টেকনিক ও স্কিলে বাংলাদেশ স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট ভালো। যদিও দলের নিয়মিত অধিনায়ক ও ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহারের অনুপস্থিতি দ্রুত গোল পেতে ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। লিগামেন্টের চোটের কারণে অনূর্ধ্ব-২০ সাফের সেরা ফুটবলার গতকাল মাঠেই নামতে পারেননি। যে কারণে বাংলাদেশকে প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। বাংলাদেশ ১-০ গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল। আকলিমা খাতুন ও স্বপ্না রানীর জোড়া গোলের সুবাদে সেই ব্যবধান আরো বাড়িয়ে নেয় স্বাগতিকরা।
গতকাল ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ প্রাধান্য বজায় রাখে। একাধিক গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। তবে লিড নেয়া সেই গোল পেতে বাংলাদেশকে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফরোয়ার্ড আকলিমার গোলেই ম্যাচে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। অবশ্য তুর্কমেনিস্তান বাংলাদেশের গোলটি হ্যান্ডবল হয়েছে দাবি করে অনেকক্ষণ আপত্তি জানিয়েছিল। একপর্যায়ে তাদের কোচ মাঠেও প্রবেশ করেন। পরে রেফারি অবশ্য তার সিদ্ধান্তেই অটল ছিলেন। অধিনায়ক শামসুন্নাহারের অনুপস্থিতিতে গতকাল ত্রাতা হয়ে উপস্থিত হন আকলিমা খাতুন। করেন জোড়া গোল। জালের দেখা পান স্বপ্না রানীও। দুই ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যে সওয়ার হয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে শুভ সূচনা পেয়েছে দল।
বাংলাদেশের প্রথম গোলটি হয়েছে প্রথমার্ধের যোগ হওয়া সময়ে। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে জটলা থেকে সাইড ভলিতে গোল করেন আকলিমা। যদিও তুর্কমেনিস্তানের ফুটবলারদের দাবি, বলটি হাতে লাগে আকলিমার। কিন্তু রেফারি সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। ম্যাচের ২০ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। বক্সের মধ্যে দারুণ একটা সুযোগ পেয়েও তা নষ্ট করেন আকলিমা। সুরমা জান্নাতের বাড়িয়ে দেয়া বলটিতে ভালোভাবে শট নিলেই হতো। কিন্তু তুর্কমেনিস্তানের গোলরক্ষক আমানবারদিয়েভা আয়েশার হাতে বল তুলে দেন আকলিমা! ৭১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান সর্বশেষ নারী ফুটবল লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা আকলিমা। ডান প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের আক্রমণ, ইতি খাতুনের ক্রসে দুর্দান্ত ভলিতে বল জালে জড়ান আকলিমা।
ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে জোরালো আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশ। আর সেটার ফলও পেয়েছে পরপর দুই মিনিটে দুটি গোল করে। ৮০ মিনিটে ইতি খাতুনের ক্রসে স্বপ্নার হেডে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০। ৮১ মিনিটে বাংলাদেশের চতুর্থ গোলে মিডফিল্ডার স্বপ্নার কৃতিত্বের চেয়ে অবদান বেশি তুর্কমেনিস্তানের ডিফেন্ডার কুরবানোভা পারভানার। বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন স্বপ্না, সেটা ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়েছেন কুরবানোভা। যদিও রেফারি স্বপ্নাকেই গোলটি দিয়েছেন। ৮৭ মিনিটে অবশ্য আকলিমাকে তুলে নেন কোচ গোলাম রব্বানী। তার বদলি হিসেবে আনিকা তানজুম নামলেও স্কোরে আর বদল হয়নি বাংলাদেশের।
৮ মার্চ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে এই তুর্কমেনিস্তানকেই ৭-১ গোলে উড়িয়ে দেয় ইরান। বাংলাদেশের মেয়েদেরও স্বপ্ন ছিল তুর্কমেনিস্তানের জালে গোল উৎসব করার। কিন্তু তা আর হয়নি। একটি করে জয়ে বাংলাদেশ ও ইরানের পয়েন্ট সমান হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে ইরান। তাই টুর্নামেন্টে পরের রাউন্ডে যাওয়ার ক্ষেত্রে গোল গড়ের প্রভাবটা হয়তো ভালোভাবেই পড়তে পারে বাংলাদেশের। পরের রাউন্ডে যেতে ১২ মার্চ ইরানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প নেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়