কাতার নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : প্রবাসে অপরাধে জড়ালে দায় নেবে না সরকার, দালালের মাধ্যমে কেউ বিদেশমুখী হবেন না

আগের সংবাদ

বিপর্যয় সামালের সক্ষমতা কম : ইঞ্জিনিয়ার ও প্যারামেডিকেল টিম নেই, প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম

পরের সংবাদ

সুলতানস ডাইনে অভিযান, ২৫ কেজি মাংসে গরমিল

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অভিজাত চেইন রেস্তোরাঁ সুলতানস ডাইনে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় তারা ২৫ কেজি মাংসের গরমিল খুঁজে পেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিড়ালের মাংস দিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি বানানোর অভিযোগ তুলে ভিডিও ভাইরাল হয়। এই অভিযোগ ওঠার পর সুলতানস ডাইনের গুলশান শাখায় অভিযান চালিয়ে এই গরমিল পাওয়া গেছে। এর ব্যাখা জানতে চেয়ে আগামী সোমবার সকাল ৯টায় ভোক্তা অধিকারের কাওরান বাজার অফিসে মাংস সরবরাহকারীসহ সুলতানস ডাইন কর্তৃপক্ষকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বিরিয়ানিতে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে গুলশানের সুলতানস ডাইনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ওঠার পর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত গুলশান-২ নম্বরের সামসুদ্দিন ম্যানশনে সুলতানস ডাইন শাখায় অভিযান চালায়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় মাংসগুলো চিকন আকৃতির। খাসির মাংস এত চিকন হয় কিনা এবং সুলতানস ডাইন কর্তৃপক্ষ কার কাছ থেকে মাংস নিয়েছে এসব বিষয়ে তদারকি করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান ও সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মন্ডল মাংস সরবরাহকারীকে সরাসরি ফোন করেন। ফোনে কথা বলার সময় মাংস সরবরাহকারী জানান, সুলতানস ডাইনকে গত ৯ মার্চ ১২৫ কেজি খাসির মাংস বাকিতে সরবরাহ করেছে। মাংস প্রসেসিংয়ের সময় সুলতানস ডাইনের কেউ না থাকলেও সরবরাহের সময় তাদের একজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
তবে ৯ মার্চ কাগজে কলমে দেখা যায় সুলতানস ডাইন কর্তৃপক্ষ ১৫০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহ করে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের পরিচালক আবদুল জব্বার মন্ডল সুলতানস ডাইনের ম্যানেজার মো. আশরাফ আলমের কাছে জানতে চান সরবরাহকারী ১২৫ কেজি সরবরাহ করলে বাকি ২৫ কেজি মাংস সুলতানস ডাইন কার থেকে সংগ্রহ করেছে। এখানে ২৫ কেজি খাসির মাংসের গরমিলের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলে সুলতানস ডাইন কর্তৃপক্ষ বাকি ২৫ কেজি মাংস কেনার কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি।
ম্যানেজার মো. আশরাফ আলম বলেছেন, সুলতানস ডাইন বাকিতে দোকানির কাছ থেকে খাসির মাংস সংগ্রহ করে। এর রশিদ বা বিল সন্ধ্যায় দোকানি দিয়ে যাবে, তখন মাংসের দোকানিকে তার বকেয়া পরিশোধ করা হবে। আর সুলতানস ডাইনের খাবারে কোনো প্রকার ভেজাল দেয়া হয় না বলেও ম্যানেজার দাবি করেন।
অভিযান শেষে আবদুল জব্বার মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, সুলতানস ডাইন কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের সঙ্গে মাংস সরবরাহকারীর বক্তব্যে এবং কাগজপত্রের গরমিল পেয়েছি। তারা আপাতত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাই আগামী সোমবার ভোক্তার অফিসে এসে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এরপর যদি কোনো ভুল-ত্রæটি পাই তখন ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযানকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান ও সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মন্ডল ছাড়াও সহকারী পরিচালক মো. হাসানুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক ফারহানা ইসলাম অজন্তা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়