কাতার নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : প্রবাসে অপরাধে জড়ালে দায় নেবে না সরকার, দালালের মাধ্যমে কেউ বিদেশমুখী হবেন না

আগের সংবাদ

বিপর্যয় সামালের সক্ষমতা কম : ইঞ্জিনিয়ার ও প্যারামেডিকেল টিম নেই, প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম

পরের সংবাদ

বিশেষ ট্রেন চলবে ৮টি : প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে উৎসবের নগরী ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ২০১৮ সালের প্রায় সাড়ে চার বছর পর আগামীকাল ১১ মার্চ ময়মনসিংহে আসছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বিকাল ৩টায় নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন তিনি।
তার আগমন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনসহ স্থানীয় প্রশাসন। আর এ কারণেই ময়মনসিংহের পথে পথে উৎসবের রং লেগেছে ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ড ও শত শত তোরণে। সেই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বইছে আনন্দ উল্লাস ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। প্রিয়নেত্রীকে বরণ করতে দিনরাত নানা কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে উৎসবমুখর চিত্র।
এদিকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত এই জনসমাবেশের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে ময়মনসিংহবাসী প্রস্তুত। এদিন চট্টগ্রাম ও রাজশাহী থেকেও বড় জনসমাবেশ হবে ময়মনসিংহে। এতে প্রায় ১০ লাখ লোক উপস্থিত থাকবে। ইতোমধ্যে জনসভার মঞ্চ নির্মাণের কাজও শেষ হয়েছে। এখন শুধু প্রধানমন্ত্রীর আগমনের অপেক্ষায় আছি আমরা। তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশ সফল করতে বিভাগের মহানগরসহ প্রতিটি জেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বর্ধিত সভা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণায় মহাসমাবেশ সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি, এটি হবে বিভাগীয় পর্যায়ে দেশের সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ।
একগুচ্ছ দাবি আদায়ে সরব সামাজিক সংগঠনগুলো : প্রধানমন্ত্রীর কাছে একগুচ্ছ দাবি
নিয়ে সরব জেলা নাগরিক আন্দোলন, জন উদ্যোগ, পাগলা
থানা উপজেলা বাস্তায়ন কমিটিসহ নানা সামাজিক সংগঠনের নেতারা। এর মধ্যে নগরীর ভয়াবহ যানজট নিরসনে ফ্লাইওভার, রেললাইন স্থাপন, উত্তরবঙ্গ যাতায়াতের জন্য ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন স্থাপন, ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা রেলপথে দুটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু, কেওয়াটখালী রেল ব্রিজ থেকে ঘুমটি পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সমুদ্রসৈকতের আদলে ব্রহ্মপুত্র সৈকত নির্মাণ, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, বিমানবন্দর স্থাপন ও অবিলম্বে বিভাগীয় শহর প্রকল্পের বাস্তবায়নসহ ১৮ দফা দাবি জানিয়েছে জন উদ্যোগ নামক একটি সংগঠন।
গত ৪ মার্চ জন উদ্যোগের আহ্বায়ক এডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি তুলে ধরেন।
এছাড়াও জেলা নাগরিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে ২৩ দফা দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী নূরুল আমিন কালাম। এই দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- তিন হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর ও অপরিকল্পিত ব্রহ্মপুত্র নদ খনন বন্ধ করে সঠিকভাবে নদ খনন।
সেই সঙ্গে কৃষিসংশ্লিষ্ট একাধিক সংগঠনের নেতারা ময়মনসিংহে উৎপাদিত কৃষি পণ্য সংরক্ষণের জন্য উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাকে উপজেলা ঘোষণার দাবিতে গত ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা বাস্তাবয়ন কমিটির নেতারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়