কাতার নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : প্রবাসে অপরাধে জড়ালে দায় নেবে না সরকার, দালালের মাধ্যমে কেউ বিদেশমুখী হবেন না

আগের সংবাদ

বিপর্যয় সামালের সক্ষমতা কম : ইঞ্জিনিয়ার ও প্যারামেডিকেল টিম নেই, প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম

পরের সংবাদ

পঞ্চগড় সংঘর্ষ : ১৩ মামলায় গ্রেপ্তার ১৬৫

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এন এ রবিউল হাসান লিটন, বোদা (পঞ্চগড়) থেকে : পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৭ দিনে ১৩টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ১৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। প্রেসব্রিফিংয়ে জানালেন পুলিশ সুপার  (এসপি) এস এম সিরাজুল হুদা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান এ পর্যন্ত ১৬৫ জনকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত প্রায় ১১ হাজার জনকে আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় ১১টি ও বোদা থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো জানান, ভিডিও ফুটেজ, সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাশকতায় অংশগ্রহণকারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোনো সাধারণ নিরীহ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে, জড়িত ব্যক্তি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না। জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ও স্বাভাবিক রয়েছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
গত ৩ মার্চ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বার্ষিক সালনা জলসাকে কেন্দ্র করে জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দেয়ায় শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশকে লক্ষ্য করে মুসল্লিরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও অসংখ্য টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ ঘটনায় দুজনের প্রাণহানি ঘটে। 
সংঘর্ষের সময় বিক্ষোভকারীরা জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় চালায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। পুলিশ ও বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর, ট্রাফিক পুলিশের অফিসে অগ্নিসংযোগসহ জেলা শহরের আহমদিয়াদের চারটি দোকানে আগুন ও বেশকিছু বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। এ সময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা পঞ্চগড়। সেদিন রাত ৯টার দিকে জলসা স্থগিত ঘোষণা করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
৪ মার্চ সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যার পর আবারো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পঞ্চগড় শহর। গুজব ছড়িয়ে পড়ে ‘আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন দুজনকে গলাকেটে হত্যা করেছে। এমন গুজবে বিক্ষুব্ধ হয়ে কিছু মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাটসহ শহরের ট্রাক-টার্মিনালে একটি মাইক্রোবাস পুড়িয়ে দেয়। এসব ঘটনায় ৪ মার্চ থেকে পৃথকভাবে পঞ্চগড় সদর থানায় ১১টি ও বোদা থানায় দুটি মোট ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়