কাতার নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : প্রবাসে অপরাধে জড়ালে দায় নেবে না সরকার, দালালের মাধ্যমে কেউ বিদেশমুখী হবেন না

আগের সংবাদ

বিপর্যয় সামালের সক্ষমতা কম : ইঞ্জিনিয়ার ও প্যারামেডিকেল টিম নেই, প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম

পরের সংবাদ

নারী দিবসে আলোচনা সভায় বক্তারা : ডিজিটাল জগৎ নারীর জন্য নিরাপদ করার তাগিদ

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে ডিজিটাল জগতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। এজন্য ডিজিটাল জগতকে নারীর জন্য নিরাপদ করা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘ডিজিটাল : ইনোভেশন এন্ড টেকনোলজি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন।
জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভির হাসান জোহা। বক্তব্য রাখেন ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি কবি হাসান হাফিজ, সদস্য ফরিদ হোসেন। সঞ্চালনা করেন প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জুলহাস আলম।
তানভির হাসান জোহা বলেন, ৮৪ শতাংশ নারী এবং ৬৪ শতাংশ পুরুষ ফেসবুক ব্যবহার করছে। করোনা মহামারিকালে ই-কমার্সে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে প্রযুক্তি খাতে আয় বেড়েছে ২৫ শতাংশ। নারীরা যখন সাবলম্বী হয়েছে তখনই সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েছে, যা নারীর অগ্রযাত্রাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। একজন নারী এখনো পর্যন্ত ঋণের জন্য জিম্মাদার হতে পারে না যা নারীর প্রতি বৈষম্যেরই বহির্প্রকাশ।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, নারী দিবস আলাদা করে কেন পালন করা হয়- এমন প্রশ্ন অনেকেরই। এই দিনটি নারীর আত্মোপলব্ধির একটি দিন। নারী যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন পিতৃতান্ত্রিক সমাজের তা ভালো লাগে না। প্রযুক্তি ব্যবহারে নারী-পুরুষের সমতা আনতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে ইন্টারনেট ব্যবহারে নারীকেও হতে হবে স্মার্ট।
শ্যামল দত্ত বলেন, আমাদের দেশে ১৪ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। ৮ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছে। প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে, এর পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছে। জেন্ডার
বৈষম্য নিরসনে এই প্রযুক্তি কতটা ভূমিকা রাখছে তা নিরূপণ করা প্রয়োজন। আমরা সমতার বাংলাদেশ চাই। নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখনো নারীরা বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্য দূর করতে হবে। তিনি বলেন, স্মার্ট ফোন ব্যবহারে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। নেপালের চেয়েও আমরা এক্ষেত্রে পিছিয়ে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়