কাতার নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : প্রবাসে অপরাধে জড়ালে দায় নেবে না সরকার, দালালের মাধ্যমে কেউ বিদেশমুখী হবেন না

আগের সংবাদ

বিপর্যয় সামালের সক্ষমতা কম : ইঞ্জিনিয়ার ও প্যারামেডিকেল টিম নেই, প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম

পরের সংবাদ

দুই ভবন মালিকসহ রিমান্ডে ৩ : সব সংস্থার গাফিলতি খতিয়ে দেখবে ডিবি

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর সিদ্দিকবাজার এলাকায় বিস্ফোরিত কুইন সেনেটারি মার্কেট ভবনটি নির্মাণে বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। এটা রাজউকের দেখা উচিত ছিল। অনুমতি নিয়ে বিল্ডিং কোড মেনে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল কিনা, তা তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি রাজউক, সিটি করপোরেশনসহ তিতাসের যেসব ব্যক্তির দেখার কথা ছিল তারা এগুলো দেখেছেন কিনা সেটিও তদন্ত করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা

মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
এদিকে ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে ২২ জনের প্রাণহানির ঘটনায় ২ ভবন মালিকসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তাররা হলেন- ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের দুই মালিক ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমান এবং ভবনের বেসম্যান্টের স্যানিটারি ব্যবসায়ী মিন্টু। এর মধ্যে ওয়াহিদুর ও মতিউর সম্পর্কে আপন দুই ভাই। আদালত সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার দুই ভবন মালিকসহ তিনজনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মাবুদ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম তাদের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, সেপ্টিক ট্যাংক অপরিষ্কার রাখা, এসি মেরামত না করা, গ্যাসের লাইন বন্ধ না রাখার দায় এড়ানো যায় না। ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা ছিল না, পার্কিং স্থানও ভাড়া দেয়া ছিল। সব মিলিয়ে বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে পার্কিং প্লেস না রেখে সেখানে কাচে ঘিরে স্যানিটারি ব্যবসার জন্য ভাড়া দেয়া হয়েছিল। সেখানে ভেন্টিলেশনের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ অবস্থায় বিস্ফোরণের দায়-দায়িত্ব ভবন মালিক বা সেখানকার ব্যবসায়ীরা এড়াতে পারেন না। ফলে সবকিছু বিবেচনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এতগুলো প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ভবনের মালিক, দোকানদারদের বেপরোয়া লোভ এবং অবহেলারই ফল। তবে রাজউকের উচিত ছিল ভবন নির্মাণে অনুমতি নেয়ার পর বিল্ডিং কোড মেনে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল কিনা, সেটি দেখা। পাশাপাশি যারা ভবনটি থেকে ট্যাক্স আদায় করেন তাদেরও উচিত ছিল, যাদের ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছি, ট্যাক্স নিচ্ছি, তারা বিল্ডিং কোড ফলো করছে কিনা। তিনি আরো বলেন, ভবন মালিক, দোকান মালিক, বাসিন্দাদের তো দায় ছিলই, রাজউক ও সিটি করপোরেশনেরও উচিত কার কি দায় ছিল তা তদন্ত করা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকালে সিদ্দিকবাজারের নর্থসাউথ রোডে সাত তলা ওই ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণে ভবনটির তিন তলা পর্যন্ত পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে স্যানিটারি ও গৃহস্থালি সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। বিস্ফোরণে ভবনটির দেওয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে পড়ে যায়। ভবনের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের একটি ভবনও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়