কাতার নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : প্রবাসে অপরাধে জড়ালে দায় নেবে না সরকার, দালালের মাধ্যমে কেউ বিদেশমুখী হবেন না

আগের সংবাদ

বিপর্যয় সামালের সক্ষমতা কম : ইঞ্জিনিয়ার ও প্যারামেডিকেল টিম নেই, প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম

পরের সংবাদ

দিনাজপুরে ত্রিভুজ প্রেমের বলি কলেজছাত্র, গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে ত্রিভুজ প্রেমের দ্ব›েদ্ব কলেজছাত্র শাহরিন বিপুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দিনাজপুর সদর উপজেলার শালকী গ্রামের মো. রশিদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২২), উপশহরের পাওয়ার হাউসের উজ্জ্বল হোসেনের ছেলে শাকিব শাহরিয়ার (২১), নিশ্চিন্তপুরের আফজাল হোসেনের ছেলে আশরাফুল হোসেন ওরফে মিলন (১৯) ও উপশহরের হাউজিং মোড় এলাকার হামিদুর রহমানের ছেলে আসিফ মাহমুদ ওরফে হৃদয়। নিহত শাহারিন দিনাজপুর সদর উপজেলার আস্করপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, গ্রেপ্তার দেলোয়ারের সঙ্গে এক মেয়ের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানির পর ওই মেয়ের বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। খোঁজ খবর নিতে দেলোয়ার তার প্রেমিকার এক বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে ওই বান্ধবীর সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে ওই বান্ধবীর সঙ্গে নিহত শাহারিনের সম্পর্ক ছিল। যা দেলোয়ার মেনে নিতে পারছিলেন না। নিহত শাহারিনের ছবি তোলার শখ ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে দুই মাস আগে ফেসবুকে একটি ভুয়া আইডি খুলে শাহারিনের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলেন দেলোয়ার। ছবি তোলার প্রতি আগ্রহ ও নিজের ক্যামেরা থাকার কথা শাহারিনকে জানান তিনি। কয়েক দিনের জন্য শাহারিনকে ক্যামেরা ধার দেয়ার কথাও বলেন। ঢাকায় থাকার কথা বলে এক বন্ধুর মাধ্যমে ক্যামেরাটি দিনাজপুরে পাঠিয়েছেন বলে শাহারিনকে জানান দেলোয়ার। গত শনিবার সকালে শাহারিনকে ফোনে দেলোয়ার জানান- দিনাজপুর স্টেডিয়ামের কাছে ক্যামেরা নিয়ে তার দুই বন্ধু অপেক্ষা করছেন। শাহারিন সকাল সাড়ে ৯টায় সেখানে গেলে ওঁৎ পেতে থাকা দেলোয়ার ও তার সহযোগীরা তাকে ধরে নিয়ে স্টেডিয়ামের গ্যালারির কাছে নিয়ে যান। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শাহারিনের মাথায় কাঠের চেলা দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে চাকু দিয়ে তার গলা কাটা হয়। মৃত্যু নিশ্চিতের পর ময়লার স্তূপে লাশ ঢেকে রেখে পালিয়ে যান আসামিরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়