কাতার নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : প্রবাসে অপরাধে জড়ালে দায় নেবে না সরকার, দালালের মাধ্যমে কেউ বিদেশমুখী হবেন না

আগের সংবাদ

বিপর্যয় সামালের সক্ষমতা কম : ইঞ্জিনিয়ার ও প্যারামেডিকেল টিম নেই, প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম

পরের সংবাদ

ডিএমপির ‘মানি এসকর্ট’ সেবা নিতে অনাগ্রহ কেন

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ডাকাতি ও ছিনতাইকারীদের অপতৎপরতা বন্ধে বড় অঙ্কের অর্থ উত্তোলন বা বহনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মানি এসকর্ট সেবা চালু রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)। তবে এ সেবা নেয়ার ক্ষেত্রে অনীহার কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে রোধ করা যাচ্ছে না টাকা লুটের ঘটনা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় ফিল্মি স্টাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ফের বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
পুলিশ বলছে, সাধারণত ১০ লাখ টাকার বেশি হলেই মানি এসকর্ট সেবা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোটি কোটি টাকা পরিবহনের সময় বেশির ভাগ সময়ই এ সেবা কেউ নিচ্ছে না। এ সেবাপ্রাপ্তি প্রক্রিয়া খুবই সহজ।
ডিএমপি উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম বলেন, টাকা স্থানান্তর বা পরিবহনের ক্ষেত্রে পুলিশকে জানানোর জন্য ডিএমপি বারবার অনুরোধ করেছে। অথচ এতগুলো টাকা সকালবেলায় এমন নির্জন স্থান দিয়ে সাভার নেয়া হচ্ছিল! ৫-১০ লাখের বেশি হলে টাকা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পুলিশকে জানানোর নিয়ম। কিন্তু তারা সেটি করেনি। এখানে পুলিশের কোনো অবহেলা দেখার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, যেসব কোম্পানি এ রকম টাকা স্থানান্তর করেন, বিভিন্ন ব্যাংকের টাকা বুথে স্থানান্তর করেন তাদের আরো সতর্ক হওয়াসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কেউ টাকা স্থানান্তর করার ক্ষেত্রে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে বা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে অভিযোগ করলে আমরা সহায়তা দিয়ে থাকি। সহায়তা দিতে পুলিশ বা থানা পুলিশ সবসময় প্রস্তুত।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন গতকাল ভোরের কাগজকে বলেন, মানি এসকর্ট, পণ্য এসকর্ট প্রভৃতি ক্ষেত্রে পুলিশি সেবা নেয়ার জন্য ডিসির কাছে আবেদন করতে হয়। তখন আবেদনের বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্দেশ দেন ডিসি। ওসির প্রতিবেদন বা সুপারিশের প্রেক্ষিতে ডিসি এ সুবিধা পাওয়ার অনুমতি দেন অথবা আবেদন না মঞ্জুর করেন। প্রক্রিয়াটা অনেক সহজ হলেও এ বিষয়ে অনাগ্রহ দেখা যায় অধিকাংশের।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ীর বলেছেন, আসলে মূলত ঝামেলা হতে পারে ধারণা থেকেই পুলিশের কাছে অনেকে যেতে চায় না। বিশেষ করে, টাকা পরিবহনের সময় এর উৎসসহ নানা বিষয়ে প্রশ্নের ভয়েই অনেকে এ সেবা নিতে আগ্রহী হন না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়