কাতার নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : প্রবাসে অপরাধে জড়ালে দায় নেবে না সরকার, দালালের মাধ্যমে কেউ বিদেশমুখী হবেন না

আগের সংবাদ

বিপর্যয় সামালের সক্ষমতা কম : ইঞ্জিনিয়ার ও প্যারামেডিকেল টিম নেই, প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম

পরের সংবাদ

গম রপ্তানি কমাবে না ইউক্রেন

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ইউক্রেনে শীতকালীন খাদ্যশস্য সংগ্রহ প্রত্যাশার চেয়েও বেশি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে নতুন বিপণন মৌসুমে (জুন-জুলাই) গম রপ্তানি কমানোর পরিকল্পনা নেই দেশটির। ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটা জানিয়েছেন।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর আগে ইউক্রেন ছিল বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশ। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জন্য ইউক্রেনের সরবরাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি উপমন্ত্রী তারাস ভিসোতস্কি জানান, মন্ত্রণালয় ও স্যাটেলাইট থেকে সংগৃহীত তথ্যানুযায়ী, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে ধারণার চেয়েও বেশি গম আবাদ করেছেন কৃষকরা। সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে এখনো ভারসাম্য রয়েছে। তাই এখন পর্যন্ত গম রপ্তানি কমিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা নেই। সরকার যদি রপ্তানি সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তা হবে স্থানীয় মজুত বাড়ানোর উদ্দেশ্যে।
এর আগে ইউক্রেনের কিছু কৃষি গ্রুপ জানিয়েছিল, সরকার গম রপ্তানি কমিয়ে দিতে পারে। মূলত স্থানীয় বাজারে ভাঙানো গমের সরবরাহ কমে যাওয়া এবং নি¤œমানের গম সংগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতেই তারা এ আশঙ্কা করেছিল। তবে কৃষি মন্ত্রণালয় রপ্তানি কমানোর পরিকল্পনা নেই বলে আশ্বস্ত করেছে।

মন্ত্রণালয়ের বর্তমান প্রাক্কলন বলছে, দেশজুড়ে কৃষকরা ৪১ লাখ হেক্টর জমিতে শীতকালীন গম আবাদ করেছেন, যা অক্টোবরে করা প্রাক্কলনের তুলনায় তিন-চার লাখ হেক্টর বেশি। ওই সময় ৩৭-৩৮ হেক্টরে আবাদের কথা বলা হয়েছিল। আবাদসংক্রান্ত আরেকটি প্রাক্কলন শিগগিরই প্রকাশ হবে বলে জানা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আবাদ বাড়লেও তা যুদ্ধপূর্ব অবস্থায় ফেরেনি। যুদ্ধের আগে কৃষকরা গড়ে ৬২ লাখ হেক্টরে গম আবাদ করতেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনে গম উৎপাদনের পরিমাণ নির্ভর করছে বসন্ত মৌসুমের বৃষ্টিপাতের ওপর। কারণ এর পরই কৃষকরা গম উত্তোলন শুরু করবেন। তার প্রাক্কলন অনুযায়ী, এবার ১ কোটি ৬০ লাখ থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টন পর্যন্ত গম উত্তোলন করা হতে পারে। গত বছর উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ২ লাখ টন।
চলতি মৌসুমের এখন পর্যন্ত ইউক্রেন ১ কোটি ১৩ লাখ টন গম রপ্তানি করেছে। ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমের একই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৮১ লাখ টন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি লক্ষণীয় মাত্রায় কমেছে।
ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, যুদ্ধের প্রভাবে দেশটির গম রপ্তানির রুটে বড় রদবদল হয়েছে। ফলে ইউরোপে সরবরাহ প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে। বিপরীতে এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোয় ৭৫-৮০ শতাংশ কমেছে। এসএন্ডপি গেøাবাল প্লাটসের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইউক্রেন ফ্রি অন বোর্ড চুক্তিতে প্রতি টন গম ২৭৪ ডলারে রপ্তানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দাম কমেছে ২৩ দশমিক ২ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার হামলার কারণে গত বছর ছয় মাস কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি বন্ধ ছিল। জুলাইয়ে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হলে রপ্তানি আবার চালু হয়। কিন্তু এখনো সেটি যুদ্ধপূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরতে পারেনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়