কাতার নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : প্রবাসে অপরাধে জড়ালে দায় নেবে না সরকার, দালালের মাধ্যমে কেউ বিদেশমুখী হবেন না

আগের সংবাদ

বিপর্যয় সামালের সক্ষমতা কম : ইঞ্জিনিয়ার ও প্যারামেডিকেল টিম নেই, প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম

পরের সংবাদ

খাতুনগঞ্জে মসলার বাজার স্থিতিশীল

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শবেবরাতের আগের দিনই অনেকটা আনুষ্ঠানিকভাবে রমজানের পণ্য বিকিকিনি শুরু হয়, যার প্রভাব পড়ে খুচরা বাজার থেকে শুরু করে পাড়ার দোকানেও। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে দেশের সব ধরনের পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও অনেকটা স্থিতিশীলতায় ফিরেছে মসলার বাজার। অনেকটা নি¤œমুখী এসব পণ্যের দাম।
উৎসব ঘিরে দেশে আদা, রসুন, পেঁয়াজের পর মসলার চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে শুকনো মরিচ, আস্ত হলুদ, সরিষা, ধনে, কালিজিরা, তেজপাতা ও মিষ্টি জিরা ছাড়া প্রায় সব ধরনের মসলাই আনতে হয় বিশ্ববাজার থেকে। সা¤প্রতিক সময়ে ডলার সংকট, এলসি (ঋণপত্র) খুলতে দীর্ঘসূত্রতায় আমদানীকৃত মসলার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। তবে সর্বশেষ কয়েক দিন ধরে দু-একটি ছাড়া প্রায় সব ধরনের মসলার দামই নি¤œমুখী। কেবল জায়ফল, জয়ত্রি ও বাদামের দামই ঊর্ধ্বমুখী। দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জিরার দাম কেজিপ্রতি ৬০০ টাকা পেরিয়ে গেলেও বর্তমানে ৫৮০-৫৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দারুচিনির দাম কেজিপ্রতি ৫-৭ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩১৬ টাকায়, এলাচের দাম নি¤œমুখী অবস্থায় লেনদেন হচ্ছে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৪৩০, লবঙ্গ কেজিপ্রতি ১ হাজার ৩৫০, গোলমরিচ ৬০০-৬১০, সরিষা (মানভেদে) ৯০-৯৫, ধনে কেজিপ্রতি ১০৭-১১২, কালিজিরা ২৩০-২৪০, আস্ত বাদাম ১৪৫-১৫০, আস্ত হলুদ ১১৬-১২০ ও তেজপাতা ৭০-৮০ টাকায়। অন্যদিকে মসলার মধ্যে জয়ত্রি কেজিপ্রতি ৫০-৭০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৯০০ টাকায়, জায়ফল কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৬৬০ টাকায়। শুকনো ফলের দাম অবশ্য কিছুটা বাড়তি। পাইকারি পর্যায়ে কেজিপ্রতি কিশমিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪০০ টাকায়, কাঠবাদাম কেজিপ্রতি ৭১০-৭২০, পেস্তা ২ হাজার ৭০০ ও কাজুবাদাম ৯৪০-৯৫০ টাকায়। বাদামের দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়ে ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুকনো খাবারের মধ্যে রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় খেজুরও লেনদেন হচ্ছে বাড়তি দামে। আমদানীকৃত খেজুর মানভেদে কেজিপ্রতি ১২০-৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়