কাতার নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : প্রবাসে অপরাধে জড়ালে দায় নেবে না সরকার, দালালের মাধ্যমে কেউ বিদেশমুখী হবেন না

আগের সংবাদ

বিপর্যয় সামালের সক্ষমতা কম : ইঞ্জিনিয়ার ও প্যারামেডিকেল টিম নেই, প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম

পরের সংবাদ

আলোচনা সভায় বক্তারা : নারী নিজেও অবস্থান করে নারীমুক্তির বিপক্ষে

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নারীরা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করেনি। সম্পত্তিতে নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। কাজের ক্ষেত্রে মজুরি বৈষম্যের শিকার হয় নারী। এখনো একজন মা তার সন্তানদের অভিভাবকত্ব পায় না। তাই নারীর টেকসই উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণ, অর্থনৈতিক সক্ষমতা তৈরি ও ক্ষমতায়নের উপর জোর দিতে হবে। বেগুনি শাড়ি পড়ে নারী দিবস উদযাপন করি, কিন্তু ব্যক্তি জীবনে, পারিবারিক জীবনে নারী অধিকার স্বীকার করি না। নারী নিজেও নারীমুক্তির বিপক্ষে অবস্থান করে।
প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীতে সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ি, নারী-পুরুষের সমতা, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্র্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। এডাব (অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ), বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র ও বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম যৌথভাবে গতকাল
বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবে র‌্যালি পরবর্তী এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন। এডাব চেয়ারপারসন আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির ঢাকা মহনগর শাখার সদস্য সচিব কাজী বেবী।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটা নারী নির্যাতন ঘটনাকে বর্বরোচিত ও কুরুচিপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয় প্রবন্ধে। এতে বলা হয়, এসব ঘটনা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে। তাই সকল প্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিং এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শান্তির ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়।
সভায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মালেকা বানু বলেন, নারী আন্দোলনের কিছু অসমাপ্ত কাজ রয়ে গেছে। মানুষ হিসেবে নারীরা এখনো শ্রমের মর্যাদা পায় না। সন্তানের অভিভাকত্ব আইন এখনো পাস হয়নি। নারীর শরীর তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নারী বৈষম্যের শিকার হয়। তাই নারী পুরুষের সমতা আনয়নে সকলের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক বলেন, ১৯১০ সালে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিন ৮ মার্চকে আন্তজার্তিক নারী দিবস ঘোষণা করে। কিন্তু ১১৩ বছর পরও এখনো নারী মুক্তির কথা বলতে হয়। বেগুনি শাড়ি পরে নারী দিবস উদযাপন করি, কিন্তু ব্যক্তি জীবনে, পারিবারিক জীবনে সম্পদের অধিকার স্বীকার করি না। অনেক ক্ষেত্রে নারী নিজেও তাদের বিপক্ষে অবস্থান করে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এনামুল কবীর রুপম, গ্রাম বিকাশ সহায়ক সংস্থা নির্বাহী পরিচালক মাসুদা ফারুক রতœা, এডাবের পরিচালক একেএম জসীম উদ্দিন প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়