কাতার নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : প্রবাসে অপরাধে জড়ালে দায় নেবে না সরকার, দালালের মাধ্যমে কেউ বিদেশমুখী হবেন না

আগের সংবাদ

বিপর্যয় সামালের সক্ষমতা কম : ইঞ্জিনিয়ার ও প্যারামেডিকেল টিম নেই, প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম

পরের সংবাদ

অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল : অভয়নগর

প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এসএম রফিকুল আলম, নওয়াপাড়া (যশোর) থেকে : অভয়নগর উপজেলার ব্যস্ততম এলাকা নওয়াপাড়া গার্লস স্কুল সড়কের রেলগেটটির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া ৩০ কিলোমিটার রেলপথে ৪৫টি ক্রসিংয়ের মধ্যে ৩৬টিতে কোনো গেটম্যান নেই। এর মধ্যে নওয়াপাড়া গার্লস স্কুল রোড, আকিজ জুট মিল রোড ও বালিয়াডাঙ্গা রেল ক্রসিং বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব রেলগেটে একদিকে যেমন গেটম্যান নেই, তেমনি রাখা হয়নি কোনো নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। ফলে এসব উন্মুক্ত রেলগেট দিয়ে যানবাহন এবং লোক চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার সীমানার মধ্যে নওয়াপাড়া রেল স্টেশন। স্টেশন সংলগ্ন রেলগেটগুলোতে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই মানুষ ও যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ব্যস্ততম এলাকায় নওয়াপাড়া গার্লস স্কুল সড়কের রেলগেটটির অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গালর্স স্কুল রেলগেট সংলগ্ন কম্পিউটার দোকান ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম হানিফ জানান, এই গুরুত্বপূর্ণ গেটে কোনো গেটম্যান না থাকায় ঝুঁকি এড়াতে এই রেলগেটে নওয়াপাড়া পৌরসভার উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে একজন মহিলা নিয়োগ করা হয়েছে। ট্রেন আসার সময় শুধু গেটের এক প্রান্তে বাঁশ ধরে লোক ও যান চলাচল কোনো মতে বন্ধ করতে হয়। কিন্তু অপর পাশ খালি থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। এ তিনটি রেলগেট ঘুরে দেখা গেছে, যানবাহন এবং লোকজন এ পথে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। আকিজ জুট মিল গেট সংলগ্ন রেলগেটটি উন্মুক্ত। রেলগেট দিয়ে আকিজ জুট মিল ও আকিজ আইডিয়াল স্কুল কলেজে যাওয়ার পথ। ফলে এ পথে অনেক ভারী ও হালকা যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ রেলগেটে নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাদের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হতে হচ্ছে। প্রায়ই এ পথে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। ট্রাকচালক আ. রহিম জানান, রাতে ট্রেনের আলো দেখে এ রেলগেটের ওপর দিয়ে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে হয়। কিন্তু দিনে ট্রেন আসছে কিনা তা বোঝা যায় না। ফলে রেলগেটে গাড়ি থামিয়ে দুপাশ দেখে পারাপার হতে হয়। কয়েক বছর আগে এ রেলগেটে ট্রেনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছিলেন। এরপরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
নওয়াপাড়া রেল স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা বলেন, নওয়াপাড়া গার্লস স্কুল সড়কের গেটম্যানসহ বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।
গেটম্যান তমা বেগম বলেন, প্রায় ৭ মাস ধরে গেটকিপার হিসেবে নওয়াপাড়া পৌরসভার মাধ্যমে এই গেটে কাজ করছি। নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের পাশেই গুরুত্বপূর্ণ এই গেটের দায়িত্ব পালন করে আসছি।
যশোর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. মাহবুব হাসান বলেন, নওয়াপাড়া রেল স্টেশনের পাশেই নওয়াপাড়া গার্লস স্কুল সড়কের উন্মুক্ত গেটের দায়িত্ব পালন করেন তমা বেগম নামের একটি মহিলা। যেহেতু গেটটি উন্মুক্ত সেই ক্ষেত্রে তার দায়িত্ব পালনে রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে তাকে অনেক বেগ পেতে হয়। তমা যে ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন সেটি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানে এবং খুব দ্রুতই ওই গেটের একটি সমাধান হবে বলে আশা করছি। এছাড়া অবৈধ যে গেটগুলো রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে এজাহার করা আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়