কাগজ প্রতিবেদক : নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নারীর ক্ষমতায়নের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে মন্তব্য করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, লিঙ্গসমতা নিশ্চিতের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সম্ভব। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিজিটাল : ইনোভেশন এন্ড টেকনোলজি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারী সুরক্ষা আইন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নারীবান্ধব প্রকল্প বাস্তবায়ন, ফ্রিল্যান্সিং, ই-কমার্স ও অনলাইন বিজনেসের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ দৃশ্যমান হয়েছে। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। ইশরাত জাহান উর্মির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিকাবের সাবেক সভাপতি আঙ্গুর নাহার মন্টি। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন, মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান সিশিলার, ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস, নির্বাহী সদস্য নাফিজা দৌলা। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস ও সাবেক সভাপতি রাহীদ এজাজসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রণীত ১৯৭২ সালের সংবিধানে জাতীয় সংসদে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হওয়ার পাশাপাশি নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের সুযোগ রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু নারীদের এগিয়ে নেয়ার কথা ভেবে সংবিধানে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধু নারী ও পুরুষের সমঅধিকার নিশ্চিত করেছেন। নারী সাংবাদিকদের ককাস গঠন করে কর্মক্ষেত্রের সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নারী সাংবাদিকরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে মনে রাখতে হবে, জ্ঞান এবং তথ্যই হচ্ছে শক্তি। নারীদের সঠিক তথ্য জেনে নিজেদের আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। ওই সময় তিনি নারীদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং যথাযথ জ্ঞান অর্জন করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানান।