এবার ডিএনসিসির গাড়িচাপায় বাইক চালকের মৃত্যু : মেশিনে পেঁচিয়ে নিহত ১

আগের সংবাদ

আতঙ্কের বসতি পুরান ঢাকা : কেমিক্যাল গোডাউন না সরায় ক্ষোভ, নিমতলীর ১৭ দফা বাস্তবায়ন জরুরি

পরের সংবাদ

পেনাল্টি নাটকীয়তায় কোয়ার্টারে চেলসি

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ব্রুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে চেলসি। এছাড়া লিগের অপর ম্যাচে দ্বিতীয় লেগে ক্লাব ব্রুগাকে ৫-১ গোলে হারিয়ে ৭-১ ব্যবধানে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বেনফিকা।
ব্রুশিয়ার মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল গ্রাহাম পটারের শিষ্যরা। তবে ঘরের মাঠে প্রথমে রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে সমতা ফেরানোর পর পেনাল্টি নাটকীয়তায় জয় পায় তারা। কাই হাভার্টজের নেয়া প্রথম স্পট কিক ক্রসবারে লেগে ফিরে এলেও আগেই ডি-বক্সে ব্রুশিয়ার খেলোয়াড় ঢুকে পড়লে আবারো পেনাল্টির সুযোগ পায় চেলসি। দ্বিতীয়বার ঠিকই লক্ষ্যভেদ করেন হাভার্টজ। ফলে ২-০ গোলের জয় পায় তারা। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে দুই দল। ম্যাচের ১৭ মিনিটে চেলসিকে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক কেপা। মার্কো রিউসের নেয়া ফ্রিকিক হাত ছুঁয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেন তিনি। এরপর ম্যাচের ২৮ মিনিটে কাই হ্যাভাটেজের নেয়া দারুণ শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে এলে হতাশ হয় স্বাগতিকরা। এর একটু পরেই ব্রুশিয়ার জালে বল জড়ায় গ্রাহাম পটারের শিষ্যরা। তবে অফসাইডের কারণে গোলবঞ্চিত হতে হয় ব্লæজদের। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন রাহিম স্টার্লিং। আগের লেগে এগিয়ে থাকা ডর্টমুন্ডের সঙ্গে ব্যবধান ১-১ করেন এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
বিরতির পর গোল শোধ করতে মরিয়া হয় ডর্টমুন্ড। তবে তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে চেলসি। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে বেন চিলওয়েলের নেয়া শট ডি-বক্সের ভেতর মারিয়ুস উলফের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় ব্লুজরা। তবে প্রথমবার নেয়া হাভার্টজের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। কিন্তু শট নেয়ার আগে ডর্টমুন্ড খেলোয়াড় বক্সে চলে আসায় আবার পেনাল্টি নেয়ার সুযোগ পান এই জার্মান। আগের মতো গোলরক্ষককে উল্টো দিকে পাঠিয়ে একই জায়গায় শট নেন হাভার্টজ। বল জড়ায় ডর্টমুন্ডের জালে। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় গ্রাহাম পটারের শিষ্যরা। দ্বিতীয়বার পেনাল্টি শট নিতে দেয়ার সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি ডর্টমুন্ডের খেলোয়াড়রা। রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়ান তারা। পিছিয়ে পড়ে একের পর এক আক্রমণে গিয়ে গোল আদায়ের চেষ্টা করে ডর্টমুন্ড। শেষ দিকে ঝড় তুললেও গোল করতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ?২-১ গোলে জিতে শেষ আট নিশ্চিত করে চেলসি। ম্যাচ শেষে চেলসি কোচ গ্রাহাম পটার বলেন, ‘আমি তো এখনো আছি। জীবনে খারাপ সময় আসে, ভালো সময়ও আসে। যদিও মনে হচ্ছিল এই বাজে সময় শেষ হওয়ার নয়। তবে কোনোকিছুই সব সময় খারাপ থাকে না। আমাদের সমর্থকদের অনেক ধন্যবাদ। গত শনিবারের মতো তারা আমাদের সঙ্গে ছিল। ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার জন্যই এই জয় পেয়েছি আমরা।’
প্রথম লেগে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয় লেগে হারের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি ডর্টমুন্ড ফরোয়ার্ড জুডে বেলিংহাম। এক পেনাল্টি দুবার দেয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তিনি। ম্যাচ শেষে বেলিংহাম বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না ওলফ তার হাত কোথায় আর কীভাবে রাখতে পারত। পেনাল্টির সিদ্ধান্তই ছিল হতাশাজনক। এরপর আবার তারা দ্বিতীয়বার পেনাল্টি নেয়ার সুযোগ পেল। আমার মনে হয় এটা একটা নাটক। রানআপ যখন ধীরগতির থাকে তখন দুয়েকজন বক্সের ভেতরে এক-দুই গজ ঢুকে যেতেই পারে। এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে রেফারি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এটা মেনে নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।’
লিগের অপর ম্যাচে ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে আগেই ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল বেনফিকা। দ্বিতীয় লেগে বড় জয় পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শেষ আটের টিকেট নিশ্চিত করে তারা। শেষ আট নিশ্চিত করার পাশাপাশি জোয়াও মারিও দারুণ একটি রেকর্ড স্পর্শ করেন। ম্যাচের ৭১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন তিনি। এর ফলে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল পেলেন এই তারকা। ৫৯ বছর আগে এই রেকর্ড গড়েছিলেন পর্তুগালের প্রয়াত কিংবদন্তি স্ট্রাইকার ইউসেবিও। ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বেনফিকা। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন রাফা। এরপর কাতার বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করে রেকর্ড গড়া গনসালো রামোস গোল করেন প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা। বিরতি থেকে ফিরে আবারো গোলের দেখা পান রামোস। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে গোল করেন তিনি। এরপর ম্যাচের ৭১ মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করেন মারিও। এর ৬ মিনিট পর ডেভিড নেরেস গোল করলে ব্যবধান হয় ৫-০।
তবে ম্যাচের ৮৭ মিনিটে ব্রুগার হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন বুর্গের বিজর্ন। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৭-১ ব্যবধানে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বেনফিকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়