এবার ডিএনসিসির গাড়িচাপায় বাইক চালকের মৃত্যু : মেশিনে পেঁচিয়ে নিহত ১

আগের সংবাদ

আতঙ্কের বসতি পুরান ঢাকা : কেমিক্যাল গোডাউন না সরায় ক্ষোভ, নিমতলীর ১৭ দফা বাস্তবায়ন জরুরি

পরের সংবাদ

দোলযাত্রা উদযাপিত : সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প আবিরের রঙে মুছে যাওয়ার প্রত্যাশা

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেবতার পায়ে এবং একে অপরকে আবির রাঙানোর মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো হিন্দু স¤প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোলযাত্রা। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় এই দোলযাত্রা উৎসব। তিথি মিলিয়ে গত মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোম যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
ওই দিন সকালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কীর্তনের মধ্যদিয়ে এ উৎসব উদযাপন শুরু হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠে মন্দির প্রাঙ্গণ। ভক্তদের প্রত্যাশা, রঙের আবিরে কেটে যাবে বিদ্বেষ, সবাই মিলে গড়বেন দেশ। প্রতি বছরের মতো এবারো পুরনো ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, বাংলাবাজার, ল²ীবাজারসহ রাজধানীর হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় সাড়ম্বরে দোল উৎসব উদযাপিত হয়েছে। বৈষ্ণব অনুসারীদের মতে, ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে শ্রীরাধা ও অন্যান্য গোপীদের সঙ্গে রঙ খেলায় মত্ত ছিলেন। সেখান থেকেই দোলযাত্রার শুরু। সে স্মৃতি মনে করেই ভক্তরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন। দোল উৎসব এখন অনেকটাই সার্বজনীন। আবিরে আবিরে ছেঁয়ে যাওয়া চারপাশ জানান দেয় অসা¤প্রদায়িক চেতনার। জানান দেয় বাঙালির উৎসব প্রিয়তার।
হোলির আবির শুধু মানুষের শরীর নয়, রাঙিয়ে দেয় মনও। যে মনে স্থান পাবে না, সা¤প্রদায়িকতার কোনো বিষবাষ্প। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে গড়বেন সুন্দর বাংলাদেশ- এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
আদিতে দোলযাত্রা ও হোলি উৎসব ছিল আলাদা। দোলযাত্রা একান্তই বাঙালিদের রঙিন উৎসব। আর হোলি হল অবাঙালিদের উৎসব। তবে বর্তমানে দুটি উৎসবই একীভূত হয়েছে। পণ্ডিতদের মতে, রাধাকৃষ্ণের দোলনায় দোলা বা দোলায় গমন করা থেকেই ‘দোল’ কথাটির উৎপত্তি। আবার দোল পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মগ্রহণকে কেন্দ্র করেও এই মহোৎ?সব পালন করা হয়। এই তিথিকে গৌর পূর্ণিমাও বলা হয়। বাঙালির দোল বৈষ্ণব ধর্মাশ্রিত একটি উৎসব হলেও রবীন্দ্রনাথ দোলযাত্রার ধর্মীয় অংশকে বাদ দিয়ে তার সাংস্কৃতিক দিকটিকে নিয়ে দোলযাত্রাকে ‘বসন্ত উৎসব’-এ রূপান্তরিত করেন। খানিকটা সেই সূত্র ধরেই দোল প্রীতির উৎসব, প্রেমের উৎসব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়