এবার ডিএনসিসির গাড়িচাপায় বাইক চালকের মৃত্যু : মেশিনে পেঁচিয়ে নিহত ১

আগের সংবাদ

আতঙ্কের বসতি পুরান ঢাকা : কেমিক্যাল গোডাউন না সরায় ক্ষোভ, নিমতলীর ১৭ দফা বাস্তবায়ন জরুরি

পরের সংবাদ

দুই সাধকের মেলায় অনুদানের অর্থ সঠিক হিসাবে জমা করার দাবি : বছরে আদায়কৃত অর্থের অর্ধেকও পান না সংশ্লিষ্টরা

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে : হযরত শাহ্ আরেফীনের (র) ওরস মোবারক ও অদ্বৈত জন্মধাম পুণ্যতীর্থে গঙ্গা¯œান ও বালুচরে বারুণি মেলা আগামী ১৯ মার্চ থেকে শুরু হবে।
সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী এলাকায় হিন্দু-মুসলিম দুই ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এ উৎসবকে ঘিরে তিন দিনব্যাপী মেলা ও ওরস অনুষ্ঠিত হয় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের জাদুকাটা নদীর বালুচরে ও লাউড়েরগড় শাহ্ আরেফিন (র.) আস্তানা প্রাঙ্গণে।
এ দুই মেলায় বসা দোকানপাট থেকে প্রতি বছর জমা বা অনুদান আদায় হয় অন্তত ৪০ লাখ টাকা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো আদায়কৃত টাকার অর্ধেকও পায় না বলে অভিযোগ করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করেন, স্থানীয় প্রশাসন উদ্যোগী হলে বড় দুই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মেলার পুরো আয় থেকে বঞ্চিত হতো না।
সম্প্রতি অদ্বৈত মন্দির পরিচালনা কমিটি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বারুণি ¯œান উপলক্ষে মেলায় বসা দোকানিদের কাছ থেকে অনুদানের টাকা বা জমা আদায়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে প্রকাশ্যে মেলার তিনদিন জমা বা অনুদান আদায়ের জন্য নিলাম আহ্বান করার অনুরোধ জানান। এ সময় জেলা প্রশাসক বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দেন কমিটির নেতাদের।
শ্রীশ্রী অদ্বৈত মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অদ্বৈত রায় বলেন, গত বছর মেলার দোকানিদের কাছ থেকে অনুদান বা জমা বাবদ দুই লাখ ৪৯ হাজার টাকা পেয়েছেন তারা। তিনি আরো বলেন, প্রকাশ্যে নিলাম ডেকে আদায়কারী নিয়োগ করা হলে এ থেকে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা পাওয়া যেত। এর আগের বছরগুলোতে মন্দির কমিটি উল্লেখ করার মতো কোনো টাকাই পায়নি বলে জানান তিনি। অদ্বৈত মন্দির পরিচালনায় বছরে সাত আট লাখ টাকা প্রয়োজন হয়। এ টাকার কোনো উৎস্য নেই। মেলা নিলাম দিয়ে অর্থ আদায় হলে এবং সেই অর্থ মন্দির কমিটির হিসাবে জমা হলে এটি সবার জানা থাকবে।
এদিকে, শাহ্ আরেফিন (র) ওরস স্থলেও একইভাবে স্থানীয় উদ্যোগে অর্থ আদায় করা হয়। ওখানেও লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। তিনদিন মেলা বসে। সেটিও প্রকাশ্যে নিলামের পক্ষে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে। শাহ্ আরেফিনের (র) আস্তানার পাশের ঘাগটিয়া গ্রামের বাসিন্দা হাজী মোশারফ হোসেন তালুকদার বলেন, নিলামের মাধ্যমে টাকা আদায় হলে সবার জানা থাকবে। টাকাও আদায় হবে বেশি। এ ক্ষেত্রে আদায়ের পরিমাণ কোনো দোকান থেকে কত টাকা তা নির্ধারণ করে সাইনবোর্ড টাঙাতে হবে। আদায়কৃত টাকা যাতে মাজার বা মন্দিরের পরিচালনা কমিটির হিসাবে জমা হয় সে ব্যবস্থাও করতে হবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা জানান, বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় করা গেলে খারাপ হয় না। আমরা স্থানীয়ভাবে বোঝাপড়া করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। শ্রীশ্রী অদ্বৈত মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, ব্যাপকভাবে প্রচার দিয়ে, উন্মুক্ত নিলাম দিয়ে ইজারাদারের ন্যায় আদায়কারী নিয়োগ করা হলে জবাবদিহিতা থাকে।
কত টাকা মন্দির পরিচালনা কমিটি বা বাজার কমিটি পেল তাও সবার জানা থাকবে। হিসাবে স্বচ্ছতা তৈরি হবে। এর আগেও একই পদ্ধতিতে আদায়কারী নিয়োগ করার রেকর্ড আছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়