গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি : কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী সস্ত্রীক বরিশালের গৌরনদীর বার্থী গ্রামের তার পূর্বপুরুষের বসতভিটা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
জানা গেছে, ওই বিচারপতি গতকাল বুধবার সকালে সড়ক পথে রাজধানী ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হন। দুপুর ১টার দিকে তিনি গৌরনদী উপজেলার বার্থী বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত বার্থী শ্রীশ্রী তারা মায়ের মন্দিরে (কালী মন্দির) এসে পৌঁছান। প্রায় সাড়ে ৪০০ বছরের পুরনো ওই জাগ্রত মন্দিরে সেবা ও পূজা পর্ব শেরে তিনি মন্দির কমিটির নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর তিনি বার্থী গ্রামে তার পূর্বপুরুষের বসতভিটা মধু রায় চৌধুরীর বাড়িতে যান। স্ত্রী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই বাড়ির চারপাশ ঘুরে দেখেন। তার পূর্ব পুরুষরা বার্থী এলাকার জমিদার ছিলেন। পূর্ব পূরুষদের ফেলে যাওয়া সাড়ে ৪০০ একর জমি ও বাড়ি এখন বেশ কিছু অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে।
বাড়ির চারপাশ ঘুরে দেখে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, এটাতো নিজের শিকড়ে ফেরা। খুব ভালো লাগছে, এ এক অপূর্ব অনুভূতি। যা বলে বোঝানো যাবে না। বাড়ি ঘুরে দেখার পর পুনরায় তিনি মন্দির অঙ্গনে ফিরে দুপুরের খাবার খান। এরপর বিকাল পৌনে ৪টায় বার্থী এলাকা থেকে বিদায় নিয়ে তিনি পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলায় মনসামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা কবি বিজয়গুপ্ত প্রতিষ্ঠিত মনসা মন্দির ঘুরে দেখেন। সেখান থেকে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে তিনি বরিশাল শহরের উদ্দেশ্য রওনা হয়ে যান।
বরিশাল সার্কিট হাউজে রাত যাপন শেষে আজ বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন। আগামীকাল শুক্রবার ঢাকা থেকে তার কলকাতায় ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। এ সফরকালে বিচারপতির সফর সঙ্গী ছিলেন তার স্ত্রী অনুরাধা রায় চৌধুরী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু আইনজীবী চন্দন মিত্র এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রটোকল অফিসার সুকুমার পাল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।