এবার ডিএনসিসির গাড়িচাপায় বাইক চালকের মৃত্যু : মেশিনে পেঁচিয়ে নিহত ১

আগের সংবাদ

আতঙ্কের বসতি পুরান ঢাকা : কেমিক্যাল গোডাউন না সরায় ক্ষোভ, নিমতলীর ১৭ দফা বাস্তবায়ন জরুরি

পরের সংবাদ

কালবৈশাখীর শঙ্কা : ১৪ মার্চের মধ্যে রবিশস্য তুলে ফেলার পরামর্শ

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আগামী ২৩ মার্চ থেকে শুরু হবে রমজান। এর আগেই চোখ রাঙাচ্ছে কালবৈশাখী ঝড়। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে শক্তিশালী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাত। আগামী ১৫ মার্চ থেকে ১৯ মার্চের মধ্যে প্রবল কালবৈশাখী শঙ্কা রয়েছে। গতকাল বুধবার এই শঙ্কার কথা জানান কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসেও চলতি মাসে কালবৈশাখীর আঘাতের আভাস পাওয়া যায়। তবে নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করেনি আবহাওয়া অফিস।
গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ ভোরের কাগজকে জানান, সম্ভাব্য কালবৈশাখী ঝড়টি এই মৌসুমের প্রথম ঝড় হবে। তাই স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টি কম হবে। এ সময় প্রচণ্ড ধূলিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। ১৭ ও ১৮ মার্চ বেশি ঝড় বয়ে যেতে পারে। ১৫ মার্চের আগেই ২ বা ১টি জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে দেশের সব জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে মোস্তফা কামাল

পলাশ বলেন, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর ওপর কালবৈশাখী ঝড়ের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকবে। সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঝুঁকি রয়েছে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের সব জেলায়, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। এ সময়ে ঢাকা শহরের ওপর দিয়েও কালবৈশাখী ঝড় অতিবাহিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জেলায় ৩০ থেকে ৭০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে গত ২ মার্চ বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসের জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান জানান, মার্চ মাসে দেশে ২-৩ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা বা মাঝারি ধরনের এবং একদিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে আলু ও সরিষাসহ নানা রবিশস্যে ক্ষতি হতে পারে। ফসলহানি থেকে রক্ষা পেতে দেশের কৃষকদের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন মোস্তফা কামাল পলাশ। আলু ও সরিষা তুলে ফেলার মতো হলে তা মার্চের ১৪ তারিখে মধ্যে তুলে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে অন্যান্য কৃষিশস্যের জন্য স্থানীয় কৃষি অফিসার বা ব্লক সুপারভাইজারের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়