এবার ডিএনসিসির গাড়িচাপায় বাইক চালকের মৃত্যু : মেশিনে পেঁচিয়ে নিহত ১

আগের সংবাদ

আতঙ্কের বসতি পুরান ঢাকা : কেমিক্যাল গোডাউন না সরায় ক্ষোভ, নিমতলীর ১৭ দফা বাস্তবায়ন জরুরি

পরের সংবাদ

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প : আরসাকে দোষারোপ করায় একের পর এক খুন!

প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জসিম আজাদ, উখিয়া (কক্সবাজার) থেকে : কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্য কর্তৃক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘন ঘন অগ্নিসংযোগ, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, গোলাগুলি, আধিপত্য বিস্তার, মাদক, অস্ত্রসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এখন প্রতিবাদকারীদের টার্গেট করে হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সাধারণ রোহিঙ্গা।
তাদের মতে, স¤প্রতি উখিয়ার ৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর এই অগ্নিকাণ্ডে জড়িতদের বিষয়ে কথা বলার কারণে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময় ক্যাম্পে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডও আরসা সদস্যদের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন তারা।
গত রবিবার ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গতকাল বুধবার সকাল ৭টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডব্লিউ ব্লকে রোহিঙ্গা নেতা সৈয়দ হোসেন ওরফে কালা বদাকে (৩৭) হত্যা করা হয়। তিনি ২নং ক্যাম্পের হেড মাঝি (নেতা) ছিলেন। নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে বাড়িতে একদল মুখোশধারী হামলা চালায়। এ সময় সৈয়দ হোসনকে বাড়িতে পেয়ে তাকে গুলি করে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা। এ সময় বসতবাড়িতেও তাণ্ডব চালায় তারা। গুলিবিদ্ধ সৈয়দ হোসেনকে ক্যাম্পের এনজিও পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে সোমবার রাত ১টার দিকে উখিয়া ৯ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকে নূর হাবি ওরফে ডা. ওয়াক্কাস (৪০) নামে আরো এক রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ওয়াক্কাস আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সক্রিয় কমান্ডার ছিলেন। তিনি ক্যাম্পের সন্ত্রাসীদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন বলেও জানিয়েছে এপিবিএন পুলিশ। ৯ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা

মো. ইয়াছিন জানান, ডা. ওয়াক্কাস ক্যাম্পে আরসা কমান্ডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাই ক্যাম্পের লোকজন তাকে ভয় পেত। স¤প্রতি আরসার সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়ে। এতে তিনি তাদের গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসেন। এ কারণে আরসা সদস্যরা তাকে হত্যা করতে পারে।
একই ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নুর ছালাম জানান, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সন্ত্রাসী এ হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। বিশেষ করে ক্যাম্পে আরসা সদস্যদের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এখন প্রতিবাদকারীদের টার্গেট করে হত্যা করছে আরসা সদস্যরা। তাই অনেক সাধারণ রোহিঙ্গা সবকিছু দেখার পরও মুখ খুলতে সাহস পান না।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর জানান, সব দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়