সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

কেন এত ভবন বিস্ফোরণ? : সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব, সামর্থ্যরে ঘাটতি আছে রাজউকের

পরের সংবাদ

হিন্দু স¤প্রদায়ের ‘দোল উৎসব’ আজ

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : হিন্দু স¤প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোলযাত্রা। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় এই উৎসব। আজ মঙ্গলবার সেই তিথি। আজ দোলযাত্রা। এই উৎসবকে হোলি নামেও অভিহিত করা হয়। শিশু থেকে বয়স্ক- সবাই আজ একে অপরকে আবির মাখিয়ে দিনভর মেতে থাকবেন আনন্দে।
প্রতিবছরের মতো এবারও রাজধানীর পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, বাংলাবাজার, ল²ীবাজারসহ হিন্দু অধ্যুষিত অন্যান্য এলাকায় মহাসমারোহে দোল উৎসব উদযাপিত হবে। সারাদেশে বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোম যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দোল উৎসব ও কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। আজ সকালে পূজা ও কীর্তন শুরু হবে।
আদিতে দোলযাত্রা ও হোলি উৎসব ছিল আলাদা। দোলযাত্রা একান্তই বাঙালিদের রঙিন উৎসব। আর হোলি হলো অবাঙালিদের উৎসব। তবে বর্তমানে দুটি উৎসবই একীভূত হয়েছে। বৈষ্ণব অনুসারীদের মতে, ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে শ্রীরাধা ও অন্য গোপীদের সঙ্গে রঙ খেলায় মত্ত ছিলেন। সেখান থেকেই দোলযাত্রার শুরু। পণ্ডিতদের মতে, রাধাকৃষ্ণের দোলনায় দোলা বা দোলায় গমন করা থেকেই ‘দোল’ কথাটির উৎপত্তি। আবার দোল পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মগ্রহণকে কেন্দ্র করেও এই মহোৎ?সব পালন করা হয়। এই তিথিকে গৌর পূর্ণিমাও বলা হয়। বাঙালির দোল বৈষ্ণব ধর্মাশ্রিত একটি উৎসব হলেও রবীন্দ্রনাথ দোলযাত্রার ধর্মীয় অংশকে বাদ দিয়ে তার সাংস্কৃতিক দিকটিকে নিয়ে দোলযাত্রাকে ‘বসন্ত উৎসব’-এ রূপান্তরিত করেন। খানিকটা সেই সূত্র ধরেই দোল প্রীতির উৎসব, প্রেমের উৎসব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়