সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

কেন এত ভবন বিস্ফোরণ? : সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব, সামর্থ্যরে ঘাটতি আছে রাজউকের

পরের সংবাদ

সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত কোচ জিলানী

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাবেক ফুটবলার ও বসুন্ধরা কিংস ক্লাবের নারী দলের বর্তমান কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী গতকাল সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ক্লাবের দিকে মোটরসাইকেলযোগে যাওয়ার সময় তিনি রাজধানীর রামপুরা এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন। বসুন্ধরা কিংস কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক তার খোঁজখবর রাখছে বলে জানা যায়।
আহত কোচ জিলানী এখন রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এই কোচের মেয়ে জ্যোতির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় সকাল ১০টার সময় দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি। জিলানী মোটরসাইকেলে নিজের শাহজাহানপুরের বাসস্থান থেকে ক্লাবের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে উল্টোপথ থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেল তার বাহনের চাকায় আঘাত করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এর পরপরই তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। গোলাম জিলানীর মেয়ে তার চিকিৎসার ব্যাপারে গণমাধ্যমকে জানান, ‘আব্বার বাঁ হাতের দুটি হাড় ভেঙে গেছে এবং মাংস বের হয়ে গেছে। জরুরি বিভাগ থেকে বেডে দেয়ার পর এখন তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়েছে। আব্বার দুটি অপারেশন লাগবে। এখন জরুরি ভিত্তিতে বের হয়ে যাওয়া মাংসের অপারেশন করা হচ্ছে। দু-তিনদিন পর হাড়ের জয়েন্টের অপারেশন হবে।’
কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানীর অধীনে চলতি মৌসুমে নারীদের প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বসুন্ধরা কিংস। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাবিনাদের নিয়ে গড়া দলটি। এর আগের মৌসুমে রহমতগঞ্জ মুসলিম সোসাইটির কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জিলানী। সেখানেও তার অধীনে আলো ছড়িয়েছে ক্লাবটি। খেলোয়াড়ি জীবনে এই কোচ নব্বই দশকে আরামবাগ, ভিক্টোরিয়ার মতো ক্লাবের হয়ে খেলে আলো ছড়িয়েছেন। খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ারের ইতি টানার পর তিনি কোচিংয়ে নাম লেখান। দীর্ঘদিন পালন করেছেন বাফুফের গ্রাসরুট প্রোগ্রামের কোচের দায়িত্ব।
জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন দুই দফা। ২০০৯ সালে রহমতগঞ্জ তার অধীনেই প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী আবাহনীকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল। এক সময় দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলা এই কোচ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নতুন খেলোয়াড় তৈরির কারিগর হিসেবে। ফুটবল কোচিং বিষয়ে প্রয়োজনীয় পড়াশোনাও করেছেন তিনি। তিনি অনূর্ধ্ব-১৩, ১৪ দলসহ দায়িত্ব সামলেছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের। জাতীয় ফুটবল দলের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করেছেন বেশ কয়েকজন বিদেশি কোচের সঙ্গে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়