সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

কেন এত ভবন বিস্ফোরণ? : সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব, সামর্থ্যরে ঘাটতি আছে রাজউকের

পরের সংবাদ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কিনা তদন্ত হচ্ছে

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করে যারা গুজব ছড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এছাড়া কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো নাশকতা ছিল কিনা; তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খান জানান, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এক মিনিটের জন্য সব ধরনের আলো বন্ধ হয়ে যাবে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে এই ব্ল্যাকআউট থাকবে। তিনি আরো বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ২৬ মার্চ সাভারে যাবেন। বিদেশি কূটনীতিকরাও সেখানে যাবেন। তাদের এই যাওয়ার পথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাতে সমুন্নত থাকে, তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনীকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যেখানে যা প্রয়োজন, রাস্তাঘাট ব্যবস্থা সুন্দর করা, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বাড়ানো; এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি কোনো নাশকতা বা ষড়যন্ত্র কিনা, সেটি আমরা দেখছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিলিন্ডারে রান্না হয়। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা আমরা তদন্ত করছি। তাতে যদি কোনো নাশকতা, ষড়যন্ত্র কিংবা অন্য ধরনের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়, সেগুলো আমরা দেখব। মন্ত্রী বলেন, যারা গৃহহারা হয়েছেন, তাদের জন্য আপাতত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা ভাসানচরে বিশাল একটি ব্যবস্থা রেখেছি, যারা স্বেচ্ছায় যেতে চান, তাদের সেখানে নিয়ে যাচ্ছি।
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া স¤প্রদায়ের সালানা জলসায় হামলা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আহমদনগর এলাকায় কয়েক হাজার কাদিয়ানী ও আহমদীয়া স¤প্রদায়ের বসবাস। প্রতিবারই তারা দুদিনব্যাপী একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে। এবারো সেই অনুষ্ঠান করতে যাওয়ায় তাদের ওপর জামায়াতে ইসলামীর অ্যাকটিভিস্ট ও বিএনপি নেতারা একসঙ্গে জড়িত হয়ে তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের ঘরবাড়িতে আগুন ধরায়। যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল, সেখানেও আগুন ধরায়। এ ঘটনায় ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা ফজলে রাব্বি আছেন। তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে সমাবেশটি বন্ধ করতে এসেছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়