সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

কেন এত ভবন বিস্ফোরণ? : সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব, সামর্থ্যরে ঘাটতি আছে রাজউকের

পরের সংবাদ

যে ভাষণ কেবল দিতে পারেন স্বাধীনতার মহানায়কই

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ পূর্ব বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শোনার জন্য তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ মানুষ উপস্থিত হয়েছে। প্রবল রাজনৈতিক উত্তেজনার সেই সময়ে বাস, ট্রেন, লঞ্চ, নৌকা আর হেঁটে যে যেখান থেকে পেরেছে ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য ছুটে এসেছেন। যারা এসেছেন তারা বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠ থেকে আগেও অনেক ভাষণ শুনেছেন কিন্তু ওই দিন তারা অন্যরকম এক ভাষণ শোনার জন্য এসেছিলেন। সেটি তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত এক নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে। সে কারণেই দেশের নিভৃত পল্লী অঞ্চল থেকেও অনেক মানুষ ছুটে এসেছিলেন নেতা আজ কী নির্দেশনা দিচ্ছেন, তা শোনার জন্য। সকাল গড়িয়ে যেতে না যেতেই জনস্রোত রেসকোর্সমুখী, কণ্ঠে সবারই সেøাগান, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা তোমার আমার ঠিকানা, পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা, ঢাকা… ইত্যাদি। দুপুর গড়াতে না গড়াতেই পুরো রেসকোর্স ময়দান জনসমুদ্রে পরিণত হয়ে গেল। কারো মাথায় গামছা বাঁধা, কারো হাতে লাঠি আর সবার মুখেই নানারকম সেøাগান, অপেক্ষা কখন আসবেন নেতা, সাজানো মঞ্চে পা ফেলবেন। অবশেষে দৃঢ় পদক্ষেপে নেতা সিঁড়ি বেয়ে মঞ্চে উঠে হাত নেড়ে সবাইকে অভিবাদন জানিয়ে মাইকের সামনে দাঁড়ালেন। ভাইয়েরা আমার, শব্দ দুটি উচ্চারিত হতে না হতেই জনসমুদ্রে আপনাআপনি তার কণ্ঠে উচ্চারিত বাণী শোনার জন্য যেন মুহূর্তের মধ্যেই পিনপতন নীরবতা নেমে এলো। তিনিও বলে যেতে থাকলেন এমনই এক রাজনীতির ইতিহাস যা লাখ লাখ মানুষকে মুহূর্তের মধ্যে আবেগ-অনুভূতিতে বিমোহিত করে ফেলল। নেতা যেন সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে সেদিন এমন এক বক্তৃক্তা দিয়ে চলছিলেন, যা উপস্থিত জনতা কখনো মন্ত্রমুগ্ধের ছোঁয়ায় স্তব্ধ হয়েই যেন শুনছিলেন আবার সমবেত জনতা কখনো কখনো সমর্থন জানিয়ে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করছিলেন। যখনই নেতা ঘোষণা দিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, তখনই লাখ লাখ জনতা দাঁড়িয়ে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করছিল, সমর্থন জানিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দেয়া করণীয় নির্দেশনাগুলোর প্রতিও সমবেত জনতা সমর্থন জানিয়েছিল। ভাষণ শেষে জনতা জয় বাংলা জয় বাংলা সেøাগানে চারদিক মুখরিত করে তুলল। ১৯ মিনিটের সেই বক্তৃতায় আগত শ্রোতারা পেয়ে গেল প্রত্যাশিত নির্দেশনা। এই ভাষণই স্বাধীনতার আগাম ঘোষণা হিসেবে উপস্থিত জনতার কাছে বিবেচিত হলো। এর পরবর্তী ১৯টি দিন স্বাধীনতার পথেই সমগ্র জাতি চলার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে থাকে। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যখন ট্যাংক, কামান, বন্দুক আর অস্ত্র নিয়ে গণহত্যায় নেমে পড়ে তখন মুক্তিকামী মানুষ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করে। সেখান থেকেই স্বাধীনতা লাভের জন্য বৃহত্তর জনগণ সংগঠিত হতে থাকে এবং বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনতে অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিতে প্রস্তুতি নিতে থাকে, দলে দলে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর পরের ৯ মাসের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত স্বাধীনতা লাভের জন্য জনযুদ্ধ সংগঠিত করার এক রক্তাক্ত ইতিহাস, হার না মানার এক বীরত্বের ইতিহাস। সেই ইতিহাস ৭ মার্চের ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে উচ্চারিত স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের লব্ধ মন্ত্র বাস্তবায়নের যুদ্ধ, যা ইতিহাসের এক অবিশ্বাস্য রক্তক্ষয়ী ও আত্মত্যাগে মহিমান্বিত উদাহরণ যা এক কথায় নজিরবিহীন।
এই একটি ভাষণ এ ভূখণ্ডে বেশির ভাগ মানুষকে স্বাধীনতা ও মুক্তি লাভের সুতায় বেঁধে ফেলেছিল। পাকিস্তান সরকার সরাসরি বেতার ও টিভিতে এই ভাষণ প্রচারিত হতে দেয়নি সত্য। কিন্তু পরদিন বেতারে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সত্যি সত্যিই প্রচারিত হলো। মানুষ সেখানেও রেডিওতে প্রচারিত ভাষণ শুনেছে হুমড়ি খেয়ে। ততক্ষণে গ্রামেগঞ্জেও উচ্চারিত হতে থাকে দুর্গ গড়ে তোলার কথা। মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি কথার অর্থ খুব সহজেই বুঝে নিতে পেরেছিল। পাকিস্তান ২৩ বছর কী অবিচার করেছিল পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর সেই ইতিহাস কমবেশি সবারই কমবেশি জানা ছিল। বঙ্গবন্ধু এই ভাষণে মানুষের আবেগকে নতুন করে নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। পাকিস্তানের সঙ্গে একত্রে বসবাস করার সব দরজাই যেন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী একে একে বন্ধ করে রেখেছিল। পূর্ব বাংলার জনগণের অধিকার যেমন তারা অতীতে মানেনি, রায়কেও তারা মেনে নিতে চায়নি। সেই প্রেক্ষাপটে জনগণের সম্মুখে কেবল স্বাধীনতার পথই বাছাই করে নেয়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে, এর কোনো বিকল্প উপায় মানুষের সম্মুখে উপস্থিত ছিল না। এটি জনগণও বুঝতে পেরেছিল, বঙ্গবন্ধুও সেই ধারণা তার ভাষণে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি। তাহলে তোমাদের যার যা আছে তা নিয়েই শত্রæর মোকাবিলা করতে হবে…।’ বঙ্গবন্ধুর এসব বক্তব্য মানুষের কাছে তখন দিকনির্দেশনা হিসেবে সমাদৃত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর এমন সুগ্রোথিত ভাষণ এক কথায় বিরল এবং অবিশ্বাস্যও ছিল। কিন্তু তিনি তো সবার সম্মুখে এমন এক অবিশ্বাস্য ভাষণই দিয়েছিলেন যা পূর্ব বাংলা তথা সারাবিশ্বে যারা শোনার অপেক্ষায় ছিল তারা তাৎক্ষণিকই শুনতে পেরেছিল। বক্তৃতাটি ছিল দরাজ কণ্ঠে, কোথাও উত্তেজনার লেশমাত্রও ছিল না। কিন্তু প্রতিটি কথা যেন ইতিহাসের একেকটি অধ্যায়, নির্মম সত্য এবং জাতির ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে সুচিন্তিত পথ নির্দেশনা। কোনো রাজনীতিবিদ হাজার চেষ্টা করেও গোটা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের মতো যুদ্ধের সমুদ্র পার হয়ে স্বাধীনতায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য এমন একটি আবেগ সৃষ্টি করতে পারবেন না যদি তিনি নিজে অধিকার আন্দোলনের সংগ্রাম, ত্যাগ তিতিক্ষা ইত্যাদিতে যুক্ত কিংবা নেতৃত্ব না দিয়ে থাকেন। বঙ্গবন্ধু এমন ভাষণটি দিতে পেরেছিলেন কারণ তিনি বিগত ২৩টি বছর পাকিস্তান রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতর দিয়ে উঠে এসেছেন যন্ত্রণা আর তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে। সে কারণে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করার পরও যখন রাষ্ট্র ক্ষমতার দায়িত্ব নিতে ব্যক্তি মুজিবকেই শুধু বাধা দেয়া কিংবা অবজ্ঞা করা হয়নি, পূর্ব বাংলার জনগণকেও পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বঞ্চিত করছিল। ১ মার্চের পর থেকে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর আসল চরিত্র জনগণের কাছে উন্মোচিত হতে থাকে। শাসকগোষ্ঠী চেয়েছিল পূর্ব বাংলার জনগণের মধ্যে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে শেখ মুজিব তাড়াহুড়া করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেবে। তাহলেই বিদেশিদের কাছে শেখ মুজিবকে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করা যাবে। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বিচার করা তখন সরকারের কাছে সহজ একটি উপায়। জনগণের আবেগকে ট্যাংক, কামান, বন্দুক আর অপপ্রচার দিয়ে দমন করা সহজ। সেটিই ছিল পাকিস্তানি শাসকদের হিসাব-নিকাশ। কিন্তু বঙ্গবন্ধু রাজনীতির একজন পোড় খাওয়া বেড়ে ওঠা নেতা যিনি বিশ্বরাজনীতির এসব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখতেন, জানতেন। তাই তিনি পাকিস্তানিদের বিছানো পথে পা দিলেন না। তিনি জনতার কাছে গেলেন, জনতাকেই সংগঠিত করলেন, স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুতি নিতেও বললেন। এর জন্য অনেক মূল্য সবাইকে দিতে হতে পারে, সেই সতর্কতাও তিনি জানিয়ে রাখলেন। তার জীবন বিপন্ন হতে পারে কিন্তু তিনি তাতে কুণ্ঠিত নন। স্বাধীনতা লাভের জন্য সংগ্রামে তার প্রস্তুতি রয়েছে সেই ইঙ্গিতও তিনি দিয়ে রাখলেন। তার এই ভাষণের প্রতিটি শব্দ, বাক্য এবং দৃষ্টি ছিল সময়ের বিস্ফোরিত উচ্চারণ, যা কেবল সময়কে নেতৃত্ব দেয়ার নেতাই ধারণ করতে পেরেছিলেন। ইতিহাসে এটিকেই বলা হয়ে থাকে স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতার ঐতিহাসিক ভূমিকা। সেই ভূমিকা বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের বাস্তবতায় নিজেকে কেন্দ্রীয় প্রধান নেতৃত্বের আসনে যথাযথভাবে অবস্থান নিয়ে স্বাধীনতার ইতিহাস সৃষ্টির পথে দেশ ও জাতিকে পথ দেখিয়ে দিচ্ছিলেন, সেভাবেই তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। অন্য কোনো জনবিচ্ছিন্ন নেতার পক্ষে এর কিছুই করা সম্ভব ছিল না। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ তারিখে যা উচ্চারণ করেছিলেন তা পেছনের ২৩ বছরকে যেমন দেখার অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ ছিল, একইভাবে সম্মুখের কঠিন চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করারও এক ঐতিহাসিক পথনির্দেশনা হিসেবে বিবৃত হয়েছে। পরবর্তী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেটি সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। এখানেই স্বাধীনতার মহানায়কের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে দেখার ও নেতৃত্ব দেয়ার যথার্থ প্রমাণ হাতেনাতে পাওয়া। ২৬ মার্চ ছিল কেবলই একটি ঐতিহাসিক কঠিন বাস্তবতা যার পূর্বানুষ্ঠানিকতা ৭ মার্চ প্রকাশ্যেই বঙ্গবন্ধু সম্পন্ন করে গিয়েছিলেন। যাতে পাকিস্তানিদের আক্রমণ, গণহত্যার পর বঙ্গবন্ধুর স্বকণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য কাউকে অপেক্ষা করতে না হয়। ৭ মার্চের ঘোষণাই ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে মানুষ প্রতিদিন শুনেছে, স্মরণ করেছে এবং বিজয়ের লক্ষ্যপূরণে অগ্রসর হয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ৭ মার্চকে অনেকেই স্বীকার করে না, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণও তাদের কাছে গুরুত্ব পায়নি। দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ উপেক্ষিত ছিল। এটি যদি অডিও-ভিডিওতে ধারণকৃত না হতো তাহলে হয়তো বলার চেষ্টা করা হতো, এমন ভাষণ শেখ মুজিব কখনো দেনইনি! যারা এই ভাষণকে বিকৃত করার জন্য দীর্ঘদিন উঠেপড়ে লেগেছিল, বঙ্গবন্ধু ভাষণ শেষে জয় বাংলা নয়, পাকিস্তান জিন্দাবাদ সেøাগান দিয়েছিল বলে রাজনীতির মাঠ গরম করার চেষ্টা করেছিল। তাদের কাছে ৭ মার্চ কেন, গোটা মুক্তিযুদ্ধটাই তো একটি দখল-বেদখলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অথচ ইউনেস্কো ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে যে ক’জন নেতার ভাষণ স্মরণীয় হয়ে আছে, ইতিহাসের বাঁক পরিবর্তন ঘটিয়েছে, তার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি এর মাধ্যমে শুধু স্বীকৃতিই পায়নি, বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে এর ঐতিহাসিক তাৎপর্য বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণই আমাদের স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছে, স্বাধীনতা অর্জিতও হয়েছে, মুক্তির পথ দেখিয়েছে, সেই পথই এখন আমাদের সম্মুখে অপেক্ষা করছে। প্রতি বছর দিবসটি পালনে আমরা যেন এই ভাষণটির মূল্য যথার্থভাবে উপলব্ধি করতে সক্ষম হই।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়