সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

কেন এত ভবন বিস্ফোরণ? : সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব, সামর্থ্যরে ঘাটতি আছে রাজউকের

পরের সংবাদ

ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ঢাকা থিয়েটার : বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের গল্প বলবে নৈঃশব্দ্যে ’৭১

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের গল্প। স্বাধীনতার মাসে আগামী ৯ ও ১০ মার্চ ঢাকা শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গভাবে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ‘নৈঃশব্দ্যে ‘৭১’। বাংলাদেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের ১৫ জন প্রতিবন্ধী শিল্পীর অংশগ্রহণে হতে যাওয়া এ নাটকের মঞ্চায়ন করছে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ঢাকা থিয়েটার।
নৈঃশব্দ্যে ’৭১ একটি সংলাপবিহীন নাটক, যেখানে অভিনয়ের বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে এই শিল্পীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গল্প উপস্থাপন করবেন। যুদ্ধের পূর্বের সময়, কীভাবে যুদ্ধ শুরু হলো এবং যুদ্ধের পরিণতির গল্প তুলে ধরার মাধ্যমে এ নাটকে বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস মঞ্চায়িত হবে। নাটকের টিকেট সংগ্রহ করা যাবে ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ঢাকা থিয়েটারের ফেসবুক পেজ থেকে।
নাটকটি নির্দেশনায় আছেন গøাসগো-ভিত্তিক খ্যাতিমান মঞ্চ নাটক নির্মাতা রমেশ মেয়্যাপ্পান। বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী এই নাট্যনির্মাতা একইসঙ্গে ভিজ্যুয়াল ও ফিজিক্যাল থিয়েটার স্টাইল সামঞ্জস্য করার মাধ্যমে ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স উপস্থাপন করে চলেছেন।
নাট্য নির্দেশক রমেশ মেয়্যাপ্পান বলেন, আমাকে যখন ইশারা ভাষায় বাংলাদেশের নামের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়, তখন আমি এই দেশের ইতিহাসের পেছনের আবেগ বুঝতে সক্ষম হয়েছি। কষ্ট ও বেদনার অসাধারণ অভিব্যক্তির মাধ্যমে এই ইতিহাস তুলে ধরতে এই দুঃসাহসী দলটি যে আগ্রহ দেখিয়েছে তা সত্যিই অতুলনীয়। এই মানুষের মনের কথা সবার সামনে প্রকাশের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের কথা শোনা ও বোঝার প্রচেষ্টাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাদের নাটকটি দেখতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই।
নৈঃশব্দ্যে ’৭১ ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজঅ্যাবিলিটি আর্টস রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্পের একটি আয়োজন। ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ২০১৯ সালে ডেয়ার চালু হয়। এরপর থেকে এটি দেশের

৮টি বিভাগীয় শহরে চার ধরনের প্রতিবন্ধী শিল্পী এবং থিয়েটার শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছে। ডেয়ার প্রকল্পের লক্ষ্য দেশের ডিজঅ্যাবিলিটি এবং শিল্পকলা খাতের মধ্যে সেতুবন্ধন এবং আস্থার জায়গা তৈরি করা। এই প্রকল্পের অধীনে ডিজঅ্যাবিলিটি থিয়েটার নিয়ে কীভাবে কাজ করা যায় এবং সে সম্পর্কে আরো ভালো ধারণা পেতে প্রতিবন্ধী শিল্পীরা এবং স্থানীয় নাট্য সংগঠনের শিল্পীরা একসঙ্গে কাজ করছে।
বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৭০তম বর্ষপূর্তি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে এই নাটকটি নির্মিত হয়। এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে নাটকটির দুটি পরীক্ষামূলক আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়