সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

কেন এত ভবন বিস্ফোরণ? : সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব, সামর্থ্যরে ঘাটতি আছে রাজউকের

পরের সংবাদ

পুঁজিবাজার চিত্র : ৭০০ কোটি টাকা লেনদেন ছাড়াল

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি পুঁজিবাজারে লেনদেনের গতিও বাড়ছে। প্রায় এক মাস পর গতকাল সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচকও।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচক ও লেনদেন বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এ বাজারটিতে সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবসেই মূল্যসূচক বাড়ল।
অবশ্য এর মধ্যেও তালিকাভুক্ত একটি বড় অংশ প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা সংকট দেখা যাচ্ছে। ক্রেতা সংকটে পড়ে লেনদেনের শেষ দিকে ডিএসইতে প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। অন্যদিকে দিনের সর্বনিম্ন দামে এসব প্রতিষ্ঠানের বিপুল বিক্রির আদেশ আসে। ফলে যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে ক্রেতা সংকটে তারা তা বিক্রি করতে পারেননি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনে অংশ নেয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় লেনদেনের দেড় ঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ২৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
এতে আবারো পুঁজিবাজারে বড় উত্থানের স্বপ্ন দেখতে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু লেনদেনের শেষ দিকে এসে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দেন। ফলে দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে আটকে যায় সূচকের বড় উত্থান। এমনকি ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১০০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৫টির। আর ১৭৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকায় একটির দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে।
অন্যদিকে ১৭৭টি প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা সংকট দেখা দেয়। ক্রেতা সংকটে পড়া এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭২টি আগে থেকেই ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। বাকি ৫টি প্রতিষ্ঠানের দাম কমে গতকাল নতুন করে ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে।
অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান ক্রেতা সংকটে পড়লেও দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২২৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭২৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৬২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৬৫ কোটি ২ লাখ টাকা।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
লেনদেন অংশ নেয়া ১৭৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮টির এবং ৮৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়