কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীর মির্জা নার্সিং কলেজের এক শিক্ষার্থীর ফরম ফিলাপ আটকে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেয়া অভিযোগও উঠেছে কলেজটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা হাসিবুল ইসলাম ফারুকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনারের কাছে এমন অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী।
অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর নাম মোছা. মতিজান খাতুন। তার বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ এলাকায়। ২০২০ সালের জুলাই মাসে মির্জা নার্সিং কলেজে ভর্তি হন তিনি।
লিখিত অভিযোগে মতিজান খাতুন দাবি করেছেন, ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে মির্জা নার্সিং কলেজে ভর্তি হন তিনি। চুক্তি মোতবেক সেই টাকা পরিশোধও করা হয়েছে। তবু তাকে ফরম ফিলাপ করতে দেয়া হচ্ছে না। ফোনে তাকে কুপ্রস্তাব ও বন্ধুত্ব করতে বলেছেন কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এছাড়া অফিস চলাকালীন সময়ে ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে হাত ধরেন ও শরীর স্পর্শ করার চেষ্টা করেন মির্জা ফারুক।
তবে এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে ভিন্ন কথা বলেন অভিযোগকারী ছাত্রী। মতিজান খাতুন বলেন, কুপ্রস্তাবের ঘটনার কোনো প্রমাণ আমার কাছে নেই। কবে এমনটা হয়েছে সেটাও মনে নেই।
তবে চুক্তি ভঙ্গ করে বাড়তি টাকা চেয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। দিতে পারিনি তাই আমার ফরম ফিলাপ আটকে রেখেছে তারা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মির্জা নার্সিং কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা হাসিবুল ইসলাম ফারুক বলেন, ওই ছাত্রীর ৯০ হাজার টাকা বাকি রয়েছে। বাড়তি কোনো টাকা চাওয়া হয়নি। এত বড় অঙ্কের টাকা পরিশোধ না করায় মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে তার ফরম ফিলাপ না করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কুপ্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ছয় মাসের মধ্যে তার সঙ্গে আমার দেখাই হয়নি। তার টাকার সমস্যা, কলেজে এসে সেটাও বলেনি। উল্টো আমাদের মানহানিমূলক কাজ করছে। এ ঘটনায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা আরএমপির রাজপাড়া থানার এসআই মো. আব্দুল জলিল বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ চেয়েছেন। অভিযোগের তদন্ত করা হবে।