সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

কেন এত ভবন বিস্ফোরণ? : সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব, সামর্থ্যরে ঘাটতি আছে রাজউকের

পরের সংবাদ

ধীরে ধীরে পয়েন্ট টেবিলে উপরে উঠছে লিভারপুল

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সপ্তাহখানেক আগেই লিগ কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে। ২০১৭ সালের পর প্রথমবার কোনো শিরোপা জয় করা দল ছন্দে থাকার কথা থাকলেও গত রবিবার রাতে অ্যানফিল্ডে দেখা যায় ভিন্ন দৃশ্য। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত রবিরার রাতে মুখোমুখি হয় এরিক টেন হাগের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল। সম্প্রতি শিরোপা জয় করা ম্যানইউ পাত্তাই পায়নি লিভারপুলের কাছে। কোডি গাকপো, দারউইন নুনিয়েজ এবং মোহাম্মদ সালাহ’র জোড়া গোলের সঙ্গে রবার্তো ফিরমিনোর গোলে বিধ্বস্ত হয় ম্যানইউ। নির্ধারিত সময় শেষে ৭-০ গোলের বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এরিক টেন হাগের শিষ্যরা। অন্যদিকে লা লিগায় একই রাতে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমে ১-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালোনিয়ার ক্লাব বার্সেলোনা।
ম্যাচ শুরু হওয়ার প্রথম দিক থেকে তালে তাল মিলিয়ে লড়াই চালিয়ে যায় ম্যানইউ-লিভারপুল। প্রথমার্ধের শেষ দিকে এগিয়েও যেতে পারত রেড ডেভিলসরা। কাসেমিরো লিভারপুলের জাল ভেদও করেন একবার। তবে অফসাইডের কারণে বাদ করা হয় গোলটি। এর পরপরই শুরু হয় লিভাপুলের তাণ্ডব। প্রথমবারের মতো ইউনাইটেডের জালে হানা দিয়ে দলকে এগিয়ে নেন গাকপো। লিভারপুল ১-০ গোলের লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে। বিরতির পর মাঠে নেমে সালাহ-গাকপোরা একের পর এক আঘাত হানে ম্যানইউর রক্ষণভাগে। এর সুফল তারা দ্বিতীয়ার্ধের ২ মিনিটেই পেয়ে যান। ম্যানইউর রক্ষণভাগের দুর্বলতার সদ্ব্যবহার করে গোলের দেখা পান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার নুনিয়েজ। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে ফের ম্যানইউর রক্ষণভাগ ভেদ করতে সক্ষম হন গাকপো। মোহাম্মদ সালাহর পাস থেকে তিনি নিজের দ্বিতীয় এবং ম্যাচের তৃতীয় গোলটি করেন। এরপর ম্যানইউর আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা চেষ্টা চালান গোল শোধ করার। তবে তেমন কোনো সুবিধা তারা করতে পারেননি। বরং ম্যাচের ৬৬ মিনিটে তারা চতুর্থ গোলটি হজম করে। এবার গোলটি আসে সালাহর পা থেকে। ৭৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন নুনিয়েজ। সালাহ ইউনাইটেডকে আরো বড় লজ্জায় ফেলে নিজের দ্বিতীয় ও দলের ষষ্ঠ গোলটি করেন ৮৩ মিনিটে। এটি প্রিমিয়ার লিগে সালাহর ১২৮তম গোল। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে লিভারপুলকে ৭-০ গোলে এগিয়ে দেন ফিরমিনো। গত বছর এপ্রিলে এই অ্যানফিল্ডেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল লিভারপুল।
এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২৫ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্টেই আটকে রইল। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে তারা ১৪ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে। সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে লিভারপুলের পয়েন্ট ৪২। তারা এই মুহূর্তে পঞ্চম স্থানে। চতুর্থ স্থানে থাকা টটেনহামের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান ৩। এই জয়ের মধ্য দিয়ে ক্লাবটি টেবিলের শীর্ষ চারে থেকে লিগ শেষ করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জয় তুলে নেয়ার উদ্দেশ্য নিয়েই মাঠে নামে কোচ জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। আগের চার ম্যাচের তিনটিতেই তারা কমপক্ষে তিন গোল নিয়ে জয়ী হয়েছিল। তবে এবার মাত্র একটি গোল নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল বার্সাকে। ১-০ গোলের জয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট তুলে নিয়েছে লিওনেল মেসির সাবেক ক্লাবটি। ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখল থাকে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের কাছে। অপ্রত্যাশিত এক আক্রমণ থেকে ম্যাচের ১৫ মিনিটের সময় রাফিনিয়া দলকে এগিয়ে নেন। সের্হিও বুসকেতসের বক্সে বাড়ানো বল ধরে এগিয়ে গিয়ে সুযোগ কাজে লাগান তিনি। প্রথম গোল করলেই জয় পাওয়ার ধারাবাহিকতা বার্সেলোনা ধরে রেখেছে সর্বশেষ ৪২ ম্যাচ ধরে। তাই ম্যাচটি রাফিনিয়ারা জিততে চলেছে এমন ভাবনায় আত্ববিশ্বাসী হয়ে উঠেন তারা। ৩৭ মিনিটের সময় আরেকটি গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার। ভ্যালেন্সিয়ার ডি বক্সে ক্রস করে আনসু ফাতির দিকে বল বাড়ান তিনি। তবে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন এই তরওণ ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার ৮ মিনিট পর ফের আক্রমণে যায় বার্সা। তখন ক্রিস্টেনসেনের শট গুইলামনের হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় তারা। রাফিনিয়া এবং ফাতিকে রেখে শট নেন ফেরান তরেস। তবে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি। টানা দুটি সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করার কিছুক্ষণ পরই দুঃসংবাদ পায় বার্সা। ভ্যালেন্সিয়ার আক্রমণের সময় ৫৯তম মিনিটে উগো দুরোকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন আরাউহো। দশজনের দলে পরিণত হয়ে ফেরান তরেসকে সামনে রেখে বাকিরা রক্ষণভাগ সামলাতে চলে যান।
বার্সার সব খেলোয়ার রক্ষণভাগে যাওয়ার পর একের পর আক্রমণ শুরু করে ভ্যালেন্সিয়া। তবে চেষ্টা চালিয়েও তারা ম্যাচ সমতায় ফেরাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১ গোলের লিড ধরে রেখে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে জাভিবাহিনী। এই জয় নিয়ে ২৪ ম্যাচ শেষে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৬২।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়