সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

কেন এত ভবন বিস্ফোরণ? : সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব, সামর্থ্যরে ঘাটতি আছে রাজউকের

পরের সংবাদ

জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল : ফেলে যাওয়া শিশুর বাবা-মা দাবি এক দম্পতির

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জামালপুর প্রতিনিধি : গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২ টা ৫ মিনিটে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ৭নং ওয়ার্ডে কন্যা শিশু নিশিকে ভর্তি করায় রকিব রোকসানা দম্পতি। তখন তার বয়স ছিল ২৬ দিন। ওজন কম ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল নিশির। রোগী ভর্তির ফরমে ঠিকানা হিসেবে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার কইরা গ্রাম ও একটি মোবাইল নম্বর উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু ১ মার্চ বিকালে ২৮ দিন বয়সী শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে চলে যান তার স্বজনেরা। এরপর থেকেই হাসপাতালে থাকা অন্য মায়ের দুধ পান করে দিন যাচ্ছে নিশির। হাসপাতালের কর্মরতরা শিশুটির দেখভাল করলেও হদিস পাওয়া যাচ্ছিলো না তার মা বাবার। সম্প্রতি ওই শিশুটিকে সন্তান দাবি করেছে একটি পরিবার। সেই পরিবারের অভিযোগ, শিশুর ওষুধ কেনার টাকার জন্য ১ মার্চ বিকালে বাড়িতে যায় শিশুটির নানী। এর কয়েক ঘন্টা পর টাকা নিয়ে ফিরে আসলে শিশুর নানীকে হাসপাতালের বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্রে আর প্রবেশ করতে দেননি নার্সরা।
শিশুটির বাবা দাবি করা সরিষাবাড়ির ইৎরাপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, আমি নারায়নগঞ্জের একটি চালকলে চাকরি করি। স্ত্রী ও বাচ্চা আমার শ্বশুর বাড়ি থাকে। বাচ্চাটি অসুস্থ হলে আমার শাশুড়ি জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আনে। সেখানে আমার ও আমার স্ত্রীর ডাক নাম ব্যবহার করে। আর আমার শ্যালকের নম্বরটি দিলেও সেখানে একটি ডিজিট ভুল ছিল। শিশুটির নানী দাবি করা শিফা বেগম বলেন, আমাদের বাচ্চাটি নেয়ার জন্য কয়েক দিন ধরেই হাসপাতালে ঘুরছি। এখন ডিসি অফিসে এসেছি। সেখানে কাগজপত্রের মিল না পাওয়ায় তারা এখন বাচ্চাটি দিচ্ছে না। এখন আমরা খুব বিপাকে পড়েছি।
শিশুটির মা দাবি করা রজনী পারভীন রিতু বলেন, আমি কয়েক দিন ধরে আমার বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে পারছি না, দেখতে পারছি না। আমি যেকোনো মূল্যে আমার বাচ্চা চাই। কর্তৃপক্ষ চাইলে যে কোনো পরীক্ষা করাতে পারে।
এসব বিষয়ে জামালপুর সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাজু আহম্মেদ বলেন, শিশু কল্যান বোর্ডের সভায় শিশুটির মা-বাবা দাবি করা ব্যাক্তিদের আনা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কিছু বিষয় নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। তাই সমাজসেবার অফিসার দ্রুত তাদের এলাকায় গিয়ে খোজখবর নিবে। এরপর প্রয়োজন হলে আমরা তাদের ডিএনএ টেস্ট করাবো।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, হাসপাতালের বিশেষায়িত নবজাতক সেবা কেন্দ্রে ওষুধের শতভাগ সাপ্লাই রয়েছে। ওষুধ কেনার জন্য বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। যারা এই অভিযোগ করছে তারা মিথ্যা কথা বলছে। নার্সরা অনেক খোজাখুজির পর বাচ্চার অভিভাবক না পেয়ে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাই। এখন তারা সিদ্ধান্ত নিবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়