সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

কেন এত ভবন বিস্ফোরণ? : সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব, সামর্থ্যরে ঘাটতি আছে রাজউকের

পরের সংবাদ

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক : শিল্পকারখানা চালাতে হবে নিয়ম মেনেই

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের কারখানায় বিস্ফোরণে ৭ জনের প্রাণহানির পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। চট্টগ্রাম জেলার ভারি ও মাঝারি শিল্পপ্রবণ এলাকায় দুর্ঘটনা কমাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এ সংক্রান্ত একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রামের সব শিল্পকারখানা নিয়মের মধ্যে থেকেই পরিচালনা করতে হবে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অনিয়ম করে কেউ শিল্পকারখানা পরিচালনা করতে পারবে না। নিয়মের মধ্যে থেকেই সবাইকে প্রতিষ্ঠান চালাতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা, স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করা। এ জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল খুঁটি শ্রমিক এবং সেই শ্রমিকের নিরাপত্তা, উদ্যোক্তাদের মূলধনের নিরাপত্তা দুটিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ হয়। এর আট মাস আগে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সীতাকুণ্ডে প্রতি বছরই দুর্ঘটনা ঘটছে, যার বেশিরভাগেরই মানবসৃষ্ট। খুব কমই প্রকৃতিগত। সেখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে, বিস্ফোরণ ঘটছে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনা রোধে আমরা একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে চাই। এর মধ্যে কীভাবে আমরা দুর্ঘটনা হ্রাস করব, এটি মানবসৃষ্ট হোক আর প্রকৃতিগত হোক, পরিবেশের দূষণ কীভাবে রোধ করব, দূষণ থেকে খাল-নদী রক্ষা, ভূ-গর্ভস্থ পানি কীভাবে নি¤েœ যাওয়ার ব্যবস্থা করা যাবে, কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি ও পাহাড় কাটা কীভাবে রোধ করা যাবে, শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও মালিকদের মূলধনের নিরাপত্তা আমরা কীভাবে নিশ্চিত করতে পারি, এর পাশাপাশি সীতাকুণ্ড এলাকায় কীভাবে আমরা একটি মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারবো; সে বিষয়ে সবার মতামত আশা করছি। কর্ণফুলী, আনোয়ারা, মিরসরাই, হাটহাজারী এলাকায়ও শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেছে। সে এলাকা নিয়েও আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার দুই মাসের মধ্যে শুধুমাত্র অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে ৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩৫ লাখ টাকার অধিক জরিমানা করা হয়েছে। এক বছরের জেল পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। আমি যোগদান করার পর একটাই লক্ষ্য ছিল- চট্টগ্রামে যাতে কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা না ঘটে। তবে দুঃখজনক ব্যাপার হলো যেসব প্রতিষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের টিম অভিযান পরিচালনা করেছে সেসব প্রতিষ্ঠানে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়