সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

কেন এত ভবন বিস্ফোরণ? : সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব, সামর্থ্যরে ঘাটতি আছে রাজউকের

পরের সংবাদ

কলাপাড়ায় মসজিদের টাকা আত্মসাৎ : সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার খেপুপাড়া কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদের টাকা ও সরকারি অনুদান আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদারসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা হয়েছে। মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার ওই মসজিদের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
খেপুপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কার্যকরী পরিষদের সদস্য আব্দুল হান্নান বেপারি বাদী হয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
পরে ওই আদালতের দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) একেএম এনামুল করিম গত ১ মার্চ মামলাটি তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। এতদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও গতকাল সোমবার তা জানাজনি হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও খেপুপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কার্যকরী পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম রাকিবুল আহসান, তার স্ত্রী সুরাইয়া নাসরিন, ওই মসজিদ কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ এবং কলাপাড়ার সাব-রেজিস্ট্রারসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমান তালুকদার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে কলাপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসানের সঙ্গে যোগসাজশে উপজেলা প্রশাসনের সরকারি বরাদ্দ থেকে মসজিদের উন্নয়নকল্পে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫০ হাজার টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩০ হাজার টাকা এবং মসজিদের ঈদগাহ মাঠের অসমাপ্ত অংশ সমাপ্তকরণ ও মাঠ ফন্টাট সলিং প্রকল্পের নামে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু ওই টাকা মসজিদের অনুকূলে জমা না করে এবং কোনোরকম উন্নয়নমূলক কাজ না করে নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন।
আরো বলা হয়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় সংসদ সদস্যের অনুকূলে ২শ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের মধ্য থেকে মসজিদ ও ঈদগাহের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ ও সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য ৫০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়। এর তৎকালীন বাজারমূল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা। ওই বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্যের বিক্রিত অর্থ মসজিদে জমা না দিয়ে এবং কোনোরকম উন্নয়ন কাজ না করে আসামিরা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে খেপুপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ঈদগাহ মাঠ উন্নয়নকল্পে বরাদ্দকৃত ২ লাখ টাকা এবং পটুয়াখালী জেলা পরিষদ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমের আবাসস্থল ও ঈদগাহ মাঠ উন্নয়নের জন্য ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ওই টাকাও তারা নিজেরা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান বলেন, ‘মসজিদ নির্মাণ ও সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমিটির সভাপতি। মিটিং করে তার অনুমোদন নিয়ে সবকিছু করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, মসজিদের এসব বিষয়ে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মসজিদের কাজে কোনো রকম দুর্নীতির প্রশ্নই ওঠে না। আমি আইনগতভাবে এর মোকাবিলা করব।
মসজিদের জমি নিজের মালিকানায় নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়