সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের উদ্বেগ

আগের সংবাদ

কেন এত ভবন বিস্ফোরণ? : সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাব, সামর্থ্যরে ঘাটতি আছে রাজউকের

পরের সংবাদ

ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে চিকিৎসা ক্যাম্প : কিডনি নষ্ট হলে ৭৫ শতাংশ রোগীই বুঝতে পারে না

প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দিন দিন কিডনি রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে কিডনি রোগ রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। শঙ্কার বিষয় হলো, সাধারণত ৭৫ শতাংশ কিডনি নষ্ট হওয়ার আগে রোগীরা বুঝতেই পারেন না যে তিনি ঘাতক ব্যাধিতে আক্রান্ত। অথচ সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা করালে অর্ধেকের বেশি কিডনি রোগী পুরোপুরি সুস্থ হতে পারে। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় না হওয়া এবং কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে স্থায়ী কিডনি অকেজো রোগে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
গতকাল সোমবার ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতাল আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানের হল রুমে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে ১৫ দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা একুশে পদকপ্রাপ্ত, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী ড. মনোরঞ্জন ঘোষাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কিডনি হাসপাতালে সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ খান। সভাপতিত্ব করেন ইনসাফ বারাকাহ কিডনি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিশিষ্ট ইউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. এম ফখরুল ইসলাম।
অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ খান বলেন, কিডনিবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮৫ কোটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি কিডনি বিকল রোগী শংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসার অভাবে অকাল মৃত্যুবরণ করবে। মরণব্যাধি হিসেবে কিডনি রোগের অবস্থান দুই যুগ আগে ছিল ২৭তম, বর্তমানে এটা দাঁড়িয়েছে ৭ম এবং ২০৪০ সালে ৫ম অবস্থানে পৌঁছাবে।
অধ্যাপক ডা. এম ফখরুল ইসলাম জানান, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও বিশ্ব কিডনি দিবসকে সামনে রেখে আমরা আয়োজন করতে যাচ্ছি বিভিন্ন চিকিৎসা সেবামূলক কর্মসূচি। আগামী ৯ মার্চ সারা বিশ্বে কিডনি দিবস পালন করা হবে। ১৫ দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেলে ক্যাম্পের কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন তিনি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- পহেলা থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত, প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ দেয়া।
ক্যাম্পে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত রোগীদের কিডনি সম্পর্কিত সিরাম ক্রিটিনিন, ইউরিন আর/ই পরীক্ষা ও ডেন্টাল চেক-আপ ফ্রি করা। ক্যাম্প চলাকালীন প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হাসপাতালের মূল রেট থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় দেয়া। মাত্র ১ হাজার টাকায় ৬টি পরীক্ষা (আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, সিবিসি, সিরাম ক্রিটিনিন, আরবিএস, ইউরিন (আর/ই) প্যাকেজে হেলথ চেক-আপ করার সুযোগ। ৩৫ হাজার টাকায় প্যাকেজে কিডনির পাথর অপারেশন করা (মেডিসিন ছাড়া)। কিডনি দিবস উপলক্ষে ৫ জন দরিদ্র রোগীকে এক বছর পর্যন্ত কিডনি ডায়ালাইসিস ফ্রি করা। ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিনব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ দেয়া এবং ১০ জন দরিদ্র শিশুর সুন্নাতে খাৎনা ফ্রি করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়