চীন-বাংলাদেশ কালচার এন্ড আর্ট নাইট

আগের সংবাদ

কাতারের উদ্যোক্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

পরের সংবাদ

সংসদীয় কমিটির সুপারিশ : ফি দিয়ে বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারবে সবাই

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নির্ধারিত ফির বিনিময়ে সাধারণ যাত্রীরাও ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারবেন, এমন বিধান রেখে খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল রবিবার সংসদীয় কমিটি এ বিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরির সুপারিশ করেছে, প্রয়োজনে অস্থায়ী ভিআইপি লাউঞ্জ স্থাপনের কথাও উঠেছে বৈঠকে। নীতিমালাটি চূড়ান্ত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে কমিটি সূত্রে জানা গেছে। কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে খসড়া নীতিমালা নিয়ে আলোচনা হয়। এর আগে গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্য তানভীর ইমামকে আহ্বায়ক এবং আনোয়ার খান ও বেগম কানিজ ফাতেমা আহমেদকে সদস্য করে একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়। সাব কমিটির দেয়া প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা শেষে খসড়া নীতিমালাটি মন্ত্রিপরিষদে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী জানান, বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের নীতিমালা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুমোদন করে থাকে। তাই মন্ত্রণালয়কে সংসদীয় কমিটির প্রস্তাবটি সেখানে পাঠানোর জন্য বলেছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে সরকারের নির্ধারিত ভিআইপি ছাড়াও সাধারণ যাত্রীরা ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এ জন্য তাদের নির্ধারিত ফি দিতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের বিধান চালু রয়েছে। নীতিমালা বাস্তবায়নে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে বৈঠকে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড প্রস্তুতকৃত ‘বাংলাদেশের পর্যটন মহাপরিকল্পনার খসড়া’র বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্পৃক্ত করে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, আমরা বলেছি, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে তৃতীয় টার্মিনাল করা হচ্ছে এটাকে যেন স্ট্যান্ড বাই না রাখা হয়। এটাকে নিয়মিত টার্মিনালে রূপ দিলে ২-৩টি করে বিমান ওঠানামা করতে পারবে। সে কারণে এটা নিয়মিত রানওয়ের সঙ্গে মিলিয়ে দেবার কথা বলেছি। তাছাড়া পর্যটনের বিষয়ে আমি বলেছি, কক্সবাজারের যে হোটেলগুলো আছে, সেখানকার মানুষ্যজনিত বর্জ্যসহ নানা ধরনের বর্জ সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়া হয় ড্রেনেজ করে। এটা বন্ধ করে রিসাইক্লিং করার ব্যবস্থা করতে হবে। কক্সবাজার সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব হোটেলের বর্জ্য একত্রিত করে এগুলোকে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে রিসাইক্লিং করা ও ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে সমুদ্র দূষিত হচ্ছে। একদিন পর্যটকদের আকর্ষণ হারাবে কক্সবাজার। তিনি কক্সবাজার হোটেল-মোটেলগুলোকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালার আওতায় আনার কথাও বলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়