চীন-বাংলাদেশ কালচার এন্ড আর্ট নাইট

আগের সংবাদ

কাতারের উদ্যোক্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

পরের সংবাদ

চমেকে ভর্তি ১৮ : নিহতদের লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকাল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা শুরু হয়।
এদিকে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ১৮ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের একজনের নাম প্রভাষ, যার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এছাড়াও চিকিৎসাধীন আরো ছয়জনের অবস্থাও গুরুতর বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় আহত দুজনকে চিকিৎসা শেষে এরই মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আশেক বলেন, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৬ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে চিকিৎসকরা ৬ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি ২০ জনের মধ্যে দুইজনকে এরই মধ্যে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে এখনো বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন রয়েছেন আইসিইউতে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, আহতদের বেশির ভাগই আঘাতজনিত সমস্যা। মস্তিষ্কে আঘাত পাওয়ায় এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কয়েকজন অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ডে। তাদের অপারেশন চলছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা খারাপ তারও আইসিইউ লাগতে পারে। আরো তিনজন চোখে আঘাত পেয়েছে। এর মধ্যে একজনের বেশি খারাপ অবস্থা। বাকিরাও ছোটো খাটো আঘাত পেয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের সব চিকিৎসক নার্স তৈরি আছেন। বাড়তি রোগী এলেও রাখার কোনো সমস্যা হবে না। হাসপাতালে পর্যাপ্ত রক্ত, স্যালাইন, ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজনবোধে আরো ব্যবস্থা রাখা হবে।
আমরাও চেষ্টা করছি দ্রুত মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো হস্তান্তর করতে। রবিবার বিকাল ৫টার দিকে পরিবারের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর শুরু হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা করা হবে। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলছে। কারা এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী, সেটি খুঁজে বের করা হচ্ছে।
চমেক হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালের ২নং ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ৭ জন, ২০নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ২৬নং ওয়ার্ডে ২ জন, ২৮নং ওয়ার্ডে ৪ জন এবং আইসিইউতে ২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মো. আরাফাত আলম, মো. মনসুর, নারায়ণ ধর, মো. ফোরকান, জাহিদ হাসান, জসিম উদ্দিন এবং রোজী আক্তার। এর মধ্যে আরাফাত ও জাহিদের অবস্থা গুরুতর। ২৬নং অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রিপন মরাগ ও মো. ওসমান। রিপনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ২৮নং নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৪ জন হলেন- মো. মজিবুর রহমান, আব্দুল মোতালেব, নাওশাদ সেলিম চৌধুরী এবং ফেন্সি। ওই ওয়ার্ডে মজিবুর ও ফেন্সির অবস্থা গুরুতর। ২০নং চক্ষু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সোলাইমান, মো. শাহরিয়ার এবং মো. আজাদ। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মো. মাসুদ ও প্রভাষ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়