চীন-বাংলাদেশ কালচার এন্ড আর্ট নাইট

আগের সংবাদ

কাতারের উদ্যোক্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

পরের সংবাদ

কলারোয়ায় আনন্দ মেলার নামে অবৈধ লটারি বাণিজ্য : নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ

প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মসিউর রহমান ফিরোজ, সাতক্ষীরা থেকে : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা সদরে আনন্দ মেলার নামে চলছে ২০ টাকার অবৈধ লটারি বাণিজ্য। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডকায় এই অবৈধ কার্যক্রম পরিচালিত হলেও একদিকে, যেমন আয়োজকরা আইনের তোয়াক্কা করছে না অপরদিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও ও কর্তৃপক্ষ অজানা কারণে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কলারোয়া উপজেলা ফুটবল মাঠে এই মেলা শুরু হয়েছে। লটারির কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ।
জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত মেলার অনুমতিপত্রে দেখা গেছে, মাসব্যাপী আনন্দ মেলার অনুমতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও বিভিন্ন শর্তে জেলার কলারোয়া উপজেলায় প্রেস ক্লাব (একাংশ) নামে একটি সাংবাদিক সংগঠনকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে, মেলার আয়োজকরা কোনো প্রকার আইনের তোয়াক্কা না করে মেলা প্রাঙ্গণে ঢোকার জন্য ‘আনন্দ মেলা’র লটারি বিক্রির নামে ২০ টাকা মূল্যের লটারির টিকেট কিনতে বাধ্য করছে মেলায় আগতদের। এর প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার এলাকাবাসী মেলায় লটারি বন্ধ করতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। সেই খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছে। তারপরও স্থানীয় প্রশাসন নির্বিকার।
জানা গেছে, সাতক্ষীরার কলারোয়া (একাংশ) প্রেস ক্লাবের আয়োজনে আনন্দ মেলার অনুমতি নিয়ে আয়োজকরা চালাচ্ছে ২০ টাকার অবৈধ লটারি টিকেট বাণিজ্য। কলারোয়া প্রেস ক্লাবের (একাংশ) নামে জনৈক মোসলেম নামে এক ব্যক্তি সভাপতি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরকে ম্যানেজ করে চালাচ্ছে অবৈধ লটারির টিকেট। লটারির নেশায় সর্বসাান্ত হচ্ছে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণ ও উঠতি যুবসমাজ।
সরজমিন দেখা গেছে, রাত গভীর হলেই মেলায় চলে নগ্ননৃত্য ও জুয়ার আসর। আবার সারাদিন ভ্যান ও ইজিবাইকে জেলার প্রত্যন্ত এলাকাায় লোভনীয় পুরস্কার ঘোষণা করে মাইকে ২০ টাকা দামের লটারি টিকেট কমিশনে বিক্রি করছে ৫০টির অধিক ভ্যান ও অটোতে। এই লটারির টিকেটটি সর্বসান্ত হচ্ছে খেটে খাওয়া নি¤œবিত্ত পরিবারের লোকজন। এলাকাবাসাী জোর দাবি জানিয়েছে এই লটারি বন্ধের।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের এনডিসি বাপ্পী দত্ত রনি সাংবাদিকদের জানান, মেলার অনুমতি দেয়া শুধুমাত্র সার্কাস ও যাত্রার জন্য, সেখানে কোনো প্রকার লটারির টিকেট বিক্রি করা যাবে না। আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। প্রয়োজনে মেলা বন্ধ করে দেয়া হবে।
কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস আনন্দ মেলায় অবৈধভাবে লটারির বিষয়ে বলেন, আমি লটারির টিকেট বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি, টিকেট বিক্রিকালে কয়েকটি অটো আটক করেছি। যারা মেলা পরিচালনা করছে তাদের বলেছি লটারি বন্ধ করার জন্য।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়