সাভারে সাংবাদিকের গাড়িতে দুর্বৃত্তদের হানা

আগের সংবাদ

তিন কলেজের শিক্ষার্থীর সংঘর্ষ সায়েন্স ল্যাবে : ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণা

পরের সংবাদ

সৈয়দপুরে জলজট নিরসনে আগাম প্রস্তুতি পৌরসভার

প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জিকরুল হক, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে : সৈয়দপুর শহরে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই জলজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে দেশের বৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা হুমকির সম্মুখীন হয়। এজন্য তিরস্কৃত হয় পৌর কর্তৃপক্ষ। নাগরিকদের সমালোচনায় নাস্তানাবুদ হন পৌরসভার সদস্যরা।
রেলওয়ে কারখানায় যাতে কোনোভাবে জলজটের সৃষ্টি না হয় সেজন্য পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের পানি নিষ্কাশনের মাস্টার ড্রেনটির ভরাট হওয়া তলদেশ পরিষ্কার করা শুরু করেছে। বর্ষায় বৃষ্টির পানি শহর থেকে গড়িয়ে যেতে যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সেজন্যই নেয়া হয়েছে এ উদ্যোগ। কনজারভেন্সি সুপারভাইজার মমিনুল ইসলামের দেয়া তথ্যমতে, বর্ষাকালে ঝুম বৃষ্টির ফলে রেলওয়ে কারখানাসহ শহরের ওয়ার্ডগুলোতে প্রচণ্ড রকমের জলজট সৃষ্টি হয়। এতে করে শহরের মূল সড়কগুলোতে হাঁটু পানি জমে। পাড়া-মহল্লার বাসাগুলো হয় জলমগ্ন। শহরটি ঘিঞ্জি হওয়ায় জমে থাকা পানি সহজে বের হয় না। তাছাড়াও ড্রেনগুলোতে নাগরিকদের ফেলা গৃহস্থালি বর্জ্যরে সঙ্গে পলিথিন ফেলায় পানি প্রবাহে সৃষ্টি হয় শক্ত প্রতিবন্ধতা। এতে করে নাগরিক সুবিধা ব্যাহত হয়ে পড়ে। পৌর পরিষদের ভালো কাজগুলোও ঢাকা পড়ে যায়।
আর এ সময় পানি নিষ্কাশনে তড়িঘড়ি করে সুব্যবস্থা নেয়াও সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। এসব বিষয়কে মাথায় রেখে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করতে পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহানের নির্দেশে এ বছর বর্ষার আগেই জলজট নিরসনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শুরু করা হয়েছে মাস্টার ড্রেনের তলদেশ পরিষ্কার করার কাজ। মাস্টার ড্রেনের সঙ্গে মহল্লার সংযোগ ড্রেনগুলোও আবর্জনামুক্ত রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। যাতে করে বর্ষাকালের বৃষ্টির পানি কোনো অবস্থাতেই থমকে না থাকে।
তার মতে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার পে-অফিসের প্রধান ফটক হয়ে খড়খড়িয়া নদী পর্যন্ত এই মাস্টার ড্রেনটি কমপক্ষে ১০ কিলোমিটার লম্বা। এ দীর্ঘ ড্রেনটি তিন মাসের মধ্যে ব্যবহার উপযোগী করতে পুরোদমে কাজ চলছে। আগামী এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ কাজ শেষ হবে। পৌরসভার নিজস্ব আয় থেকেই কাজের ব্যয় পরিশোধ করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, পরিকল্পিতভাবে মহল্লার অভ্যন্তরে থাকা রেলওয়ের পতিত ভরাট খালগুলো শুষ্ক মওসুমে সংস্কার করা হলে পুরো বর্ষাকাল সৈয়দপুর শহর জলজটমুক্ত রাখা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। অবশ্য পৌর কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ যৌথ উদ্যোগেও নাগরিক সুবিধা বাড়াতে হাজামজা খালগুলো খনন করতে পারেন।
পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান মুঠোফোনে বলেন, আমি দায়িত্বে আসার মাত্র দুই বছর হলো। এই অল্প সময়ে নাগরিক সেবা বৃদ্ধি করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। যাতে কোনোভাবেই নাগরিকরা সেবাবঞ্চিত না হন সে ব্যাপারে পৌর কাউন্সিলর এবং নাগরিকদের সহযোগিতাও প্রয়োজন। তার মতে কাজ করতে যত বেশি নাগরিক সহযোগিতা মিলবে তত বেশি নাগরিক সুবিধা বাড়ানো সম্ভব হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়