সাভারে সাংবাদিকের গাড়িতে দুর্বৃত্তদের হানা

আগের সংবাদ

তিন কলেজের শিক্ষার্থীর সংঘর্ষ সায়েন্স ল্যাবে : ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণা

পরের সংবাদ

‘শাহ আলমগীর’ অ্যাওয়ার্ড পেলেন বদরুল আহসান

প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অন্যতম দিকপাল প্রয়াত শাহ আলমগীরের সংগ্রামী জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ চালু করেছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। প্রতি বছর দেশের একজন বরেণ্য ব্যক্তিকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। প্রথম বছর এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন লেখক ও সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। দেশের বাইরে থাকায় সৈয়দ বদরুল আহসানের পক্ষে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন তার ছোট ভাই ও বোন।
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সৈয়দ বদরুল আহসান বলেন, সাংবাদিকতার জীবনে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করেছি। সব সময় আমি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরায় সচেষ্ট ছিলাম। সাংবাদিকদের যে সংকট চলছে তা সবাই মিলে দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রয়াত শাহ আলমগীরের স্মৃতিচারণ করে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সাংবাদিকতাকে একাডেমিকে রূপ দিয়েছিলেন শাহ আলমগীর। মানব কল্যাণে নিয়োজিত যে পেশা, সেটি সাংবাদিকতা। তার দিকপাল ছিলেন প্রয়াত শাহ আলমগীর। তার মতো মানুষ মারা গেলে সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের ক্ষতি হয়। এই অ্যাওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে শাহ আলমগীর সাংবাদিকদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, শাহ আলমগীর ছিলেন আপসহীন সাংবাদিক। তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন। আমরা প্রথম অ্যাওয়ার্ডটি এমন একজন ব্যক্তিকে দিতে পেরেছি, যার মধ্যে রয়েছে শাহ আলমগীরের প্রতিচ্ছবি। আগামী বছর থেকে ঢাকার বাইরের বরেণ্য ব্যক্তিদের এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে। শাহ আলমগীর না হতে পারলেও জ্ঞান ও প্রজ্ঞায় তার কাছাকাছি রয়েছেন এমন গুণীদের এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন বলেন, শাহ আলমগীর সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা সমুন্নত রেখেছেন। কোথাও আপস করেননি বিশেষ করে সংবাদপত্র মালিকদের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে। তার সাহসী ভূমিকা ছিল অনুকরণীয়। এ পুরস্কার দেশের সাংবাদিকতাকে অনুপ্রাণিত করবে।
বিজেসি চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালন করেন রাশেদ আহমেদ। আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সৈয়দ বদরুল আহসানের জন্ম ১৯৫৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। পাকিস্তানের কোয়েটার সেন্ট ফ্রান্সিস গ্রামার স্কুলে পড়াশুনা শুরু করেন তিনি। এরপর নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স করেন। সৈয়দ বদরুল আহসান একাধারে শিক্ষক ও সাংবাদিক। দ্য নিউ নেশন, বাংলাদেশ অবজারভার, দ্য মর্নিং সান, নিউজ টুডে, নিউএজ, সাপ্তাহিক ঢাকা কুরিয়ার, দ্য ডেইলি স্টার, ডেইলি অবজারভার, এশিয়ান এজ পত্রিকায় গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে চাকরি করেছেন তিনি। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, ইতিহাস এবং মিডিয়া কোর্স পড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ‘বিদ্রোহী থেকে প্রতিষ্ঠাতা: শেখ মুজিবুর রহমান’, ‘গৌরব ও হতাশা : তাজউদ্দীন আহমদের রাজনীতি’ ছাড়াও লিখেছেন ইতিহাস আশ্রিত অনেক গ্রন্থ। বর্তমানে তিনি রাজনীতি ও কূটনীতিক ভাষ্যকারের পাশাপাশি যুক্ত আছেন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়