ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : ছাতক পৌরসভার ভাশখালা ও কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামবাসীর মধ্যের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাতক থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শনিবার থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। গত বুধবার রাতে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে সাইফুল আলম নামে একব্যক্তি নিহত হন। তিনি হরিষপুর-মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত চমক আলীর ছেলে।
ঘটনার ৩ দিন পর নিহতের চাচা, কালারুকা ইউনিয়নের হরিষপুর গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে ফারুক আলী বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০/১৫০ জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোশাররফ হোসেন জানান, ঘটনার রাতে ১৯ জনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ভাশখালা গ্রামের মবু মিয়ার ছেলে, ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি সামছু মিয়াকে। ঘটনার রাতে পুলিশের হাতে আটক ১৯ জনসহ মোট ৫২ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর বাঁশখালা গ্রামের লোকজন পালিয়ে গেছেন। পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি। তারা গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়েছে গেছেন । বুধবার রাতে ঘটনার পর পুলিশ বাঁশখালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করলে গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে গরু, ছাগল, মালামাল নিয়ে অনেকেই সপরিবারে গ্রাম ছেড়ে চলে গেছেন। কয়েকটি পরিবারে মহিলা ও শিশু ছাড়া আর কেউ নেই। পুরুষরা গ্রাম ছেড়েছেন গ্রেপ্তার এড়াতে।
ছাতক রেঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক বলেন, হত্যা ও মারামারির ঘটনা নিয়ে এলাকায় যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এ ব্যাপারে পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।