সাভারে সাংবাদিকের গাড়িতে দুর্বৃত্তদের হানা

আগের সংবাদ

তিন কলেজের শিক্ষার্থীর সংঘর্ষ সায়েন্স ল্যাবে : ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণা

পরের সংবাদ

গোপনে নদী খননের মাটি বিক্রি আ.লীগ নেতার নামে মামলা

প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নদী খননের মাটি রাতের আঁধারে গোপনে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় নরিনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হককে প্রধান আসামি করে তিনজনের নামে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন নরিনা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মির্জা মো. ওয়াহিদ সাদেক আমরুল।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মৃধা। তবে এ মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
আসামিরা হলেন- নরিনা গ্রামের মৃত ওসমান গণি মণ্ডলের ছেলে ও ইউনিয়ন আওয়ামী সভাপতি ফজলুল হক, পৌর সদরের মনিরামপুর মহল্লার আয়নাল আকন্দের ছেলে মামুন ও চরাচিথুলিয়া গ্রামের আনছার প্রাং এর ছেলে আব্দুল আলীম।
জানা গেছে, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নদী খনন প্রকল্পের আওতায় ওই এলাকায় খনন কাজ চলছিল। নরিনা কেরানী ঘাট এলাকায় করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে প্রায় ১০-১৫ ফিট উঁচু করে আনুমানিক ১০০-১৫০ ফিট প্রস্থে প্রায় ৫শ মিটার দৈর্ঘ্যে খননকৃত মাটি ঢিবি করে রাখা হয়। বিপুল পরিমাণ এই মাটি কোনো রকম টেন্ডার ছাড়াই রাতের অন্ধকারে গোপনে স্থানীয় প্রশাসনের অগোচরে গত ৭-৮ দিন যাবত বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে আসছিল চক্রটি। ওই মাটি বহনে ২০-২৫টি ট্রাক ব্যবহৃত হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ শাহজাদপুরের বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় বইলে গত ১ মার্চ গভীর রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ৩ জনকে আসামি করে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নরিনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক মাটি কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ মাটির টাকা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার ও সহযোগিতা করা হয়েছে।
নরিনা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মির্জা মো. ওয়াহিদ সাদেক আমরুল বলেন, ‘এসিল্যান্ড স্যারের নেতৃত্বে অভিযান চালানোর সময় তারা সরঞ্জাম নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্যারের নির্দেশে থানায় মামলা করা হয়।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়