প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
চট্টগ্রাম অফিস : ‘ওবা (ও বাবা), কিল্লাই ফালাই গেলাগোই, ক্যানে গেলা গই? আঁরারে রাখি কিল্লাই গ্যালা? এখন আঁর বইনোরে কী হইয়ুম দে? কী জবাব দিইয়ুম যে?’
গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগের বারান্দায় বাবার মৃত্যুর শোকে এভাবেই বিলাপ করছিলেন আনুমানিক ত্রিশ বছর বয়সি মরিয়ম আক্তার। তার বাবা ৫০ বছর বয়সি শামসুল আলম সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায়
শনিবার অক্সিজেন প্ল্যান্ট বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। মরিয়মের পাশেই মুখে হাত দিয়ে বসে আছেন তার ছোটভাই আলমগীর। পরিবারের সবার ছোট আলমগীর পড়েন একাদশ শ্রেণিতে, কীভাবে কী হয়ে গেলো বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। তার মুখে কোনো কথা নেই, কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিচ্ছেন ইশারায়।
মরিয়মের অদূরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তার স্বামী মো. নাছির। তিনি সাংবাদিকদের জানান, শামসুল আলমের বাড়ি সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায়। ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। ঘটনার সময় বিস্ফোরণস্থল সীমা অক্সিজেন প্ল্যাট থেকে কিছুটা দূরে রাস্তার পাশে ছিলেন তিনি। বিস্ফোরণে তীব্রতায় বড় একটি ধাতব টুকরো উড়ে গিয়ে পড়ে তার মাথার ওপর। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শামসুলের চার সন্তানের মধ্যে তিনজন মেয়ে। তাদের মধ্যে মরিয়ম দ্বিতীয়। আলমগীর সবার ছোট। শ্বশুরের মৃত্যুর পর আলমগীরের পড়াশোনার খরচ ও পরিবারের ভরণপোষণ কীভাবে চলবে তা নিয়েও চিন্তিত নাছির।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।