জাকের সুপার মার্কেট : সংঘর্ষে সভাপতিসহ আহত ২

আগের সংবাদ

অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ : সীতাকুণ্ডের ‘সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে’ বিস্ফোরণে নিহত ৬, আহত আরো ২৫

পরের সংবাদ

মৃতকে জীবিত দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি : নান্দাইল

প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : নান্দাইল উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে মৃতকে জীবিত দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামের মৃত ফুলবানুকে জমিদাতা সদস্য হিসেবে জীবিত দেখিয়ে একটি হেবা (দানপত্র) দলিল রেজিস্ট্রি হয়। দলিলটি সম্পাদনা করেছেন দলিল লেখক মো. নজরুল ইসলাম।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অরণ্যপাশা গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী ফুলবানু ২০১৬ সালে মারা যান। এর আগে তিনি একমাত্র সন্তান মিনাকে নিয়ে বিক্রীত জমিতে বসবাস করছিলেন।
মা মারা গেলে মেয়ে মিনা চলে যান শ্বশুরবাড়িতে। বর্তমানে ঢাকায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করছেন। সাত বছর পর আব্দুল বারেক নামে এক ব্যক্তি ফুলবানুর ছেলে পরিচয় দিয়ে তার নিজের নামে ৪৯ শতক জমির হেবা (দানপত্র) দলিল নিবন্ধন করেন। বারেকের মায়ের নামও ফুলবানু।
জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে জানা যায়, মৃত ফুলবানু বিবির স্বামী মৃত আব্দুল জলিল, মা মৃত তালজান, বাবার নাম উল্লেখ নেই। জন্মতারিখ ১৯২৯ সালের ৯ জুলাই, আইডি নম্বর ৬১১৭২৩১২৭৫৭১৪। বারেকের মায়ের নাম ফুলবানু, তার স্বামী হাবিবুর রহমান, মা জরিজস বানু, বাবা তালে হোসেন ও জন্মতারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৯ এবং আইডি নম্বর ৯১২১৫৩৭৪৮৫।
সরজমিন গিয়ে জানা যায়, ওই ফুলবানুকে দেখাশোনা করতেন হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মজিদা খাতুন নামে এক মহিলা, যার স্বামীর কাছে ফুলবানু বৈধভাবে ২৩ শতক জমি বিক্রি করেছিলেন।
অন্যদিকে ১৭ শতক জমির মালিক মতিউর রহমান ও বাকি ৯ শতক জমির মালিক সামছুদ্দিন মাস্টার। তারা জমি দখলে রেখে চাষাবাদ করছেন। তবে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর বারেক এলাকা ছেড়ে লাপাত্তা হয়েছেন।
মায়ের নাম ঠিক রেখে বাবার নামের সঙ্গে ওরফে আব্দুল জলিল (মৃত ফুলবানু বিবির স্বামীর নাম) বসিয়ে মাকে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে নিয়ে হেবামূলে জমি রেজিস্ট্রি করে নেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল বারেকের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
দলিল লেখক নজরুল ইসলাম ওরফে ইসলাম উদ্দিন বলেন, আমি কাগজপত্র সঠিক পেয়েই হেবার কাগজপত্র করে দিয়েছি। এতে দোষের কী? বিষয়টি যেভাবেই হোক মীমাংসা করে দিতে সাংবাদিকদের অনুুরোধ করেন তিনি।
নান্দাইলের সাব-রেজিস্ট্রার মীর ইমরুল কায়েস আলী বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। তারপরও যারা দলিল লেখক, তাদের বিশ্বাস করেই দলিল রেজিস্ট্রি করি। তারাই আমার সামনে ক্রেতা-বিক্রেতাকে চেনেন বলে ঘোষণা দেন। এখন তারাই যদি প্রতারণার আশ্রয় নেন, তাহলে কী বলার আছে!
এ বিষয়ে ওই অভিযুক্ত দলিল লেখকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়