নাগপুর পুলিশ কন্ট্রোলে সকাল সকাল হুমকি ফোন। একটি নম্বর থেকে ফোনে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে হুমকির সুরেই জানানো হয় যে, বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয়া হবে অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্রর বাড়ি। শুধু দুই বলিউডি তারকাই নন, ওই ফোনে দাবি করা হয় যে, বম্ব ব্লাস্ট হবে ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানীর বাড়ি অ্যান্টিলাতেও। নাগপুর পুলিশ কন্ট্রোল থেকেই সরাসরি যোগাযোগ করা হয় মুম্বাই পুলিশের সঙ্গে। খবর পাওয়া মাত্রই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। নাগপুর পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যে নম্বর থেকে ফোন আসে, সেই নম্বরটি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় রয়েছে। তবে এখনো অবধি সেই নম্বর উদ্ধার করে উঠতে পারেনি মুম্বাই পুলিশ। তাই ফোনটি কি ভুয়া ছিল কিনা তাও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে জোর কদমে চলছে তদন্ত। মুম্বাইয়ের জুহুতে মোট চারটি বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে অমিতাভ বচ্চনের- প্রতীক্ষা, জলসা, জনক ও বৎস। অমিতাভের কেনা প্রথম বাংলো ছিল প্রতীক্ষা। আগে সেখানেই সপরিবারে থাকতেন অমিতাভ বচ্চন। সেই সময় তার বাবা-মা হরিবংশ রাই বচ্চন ও তেজি বচ্চনও থাকতেন ওই বাংলোতেই। পরবর্তীকালে তার সপরিবারে শিফট করে যান জলসায়। বর্তমানে জলসাতেই একসঙ্গে থাকে গোটা বচ্চন পরিবার। অমিতাভের বাংলো প্রতীক্ষার পেছনেই জুহুতে আরেক বিলাসবহুল বাংলোতে থাকেন ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। অন্যদিকে মুকেশ আম্বানী তার পুরো পরিবার নিয়ে থাকেন দক্ষিণ মুম্বাইয়ের কাম্বালা হিলে। ভারতের সবচেয়ে দামি বাংলো অ্যান্টিলাতে থাকেন তারা। কেন্দ্র থেকে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল মুকেশ আম্বানী ও তার পরিবারের জন্য বহাল করা হোক জেড প্লাস নিরাপত্তা। সুপ্রিমকোর্ট থেকে আদেশ দেয়া হয়, তাদের নিরাপত্তা শুধু মুম্বাইয়ে নয়, দেশের সর্বত্র এমনকি দেশের বাইরেও আম্বানী পরিবারকে নিরাপত্তা দেয়া হবে এবং সেই নিরাপত্তার যাবতীয় খরচ বহন করবেন মুকেশ আম্বানী নিজেই। অন্যদিকে ৮০ অতিক্রম করেও বলিউডের শেহেনশা অমিতাভই রয়ে গেছেন। ঘরে বসে থাকার ব্যক্তি তিনি নন। ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা, সিনেমা থেকে বিজ্ঞাপন, একের পর এক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অমিতাভ। হ মেলা ডেস্ক
তার তুলনায় অনেকেই কাজ কম করেন ধর্মেন্দ্র। তবে এখনো ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। শিগগিরই করণ জোহরের পরিচালনায় মুক্তি পেতে চলেছে তার ছবি রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনী। সেই ছবিতে ধর্মেন্দ্রর বিপরীতে দেখা যাবে জয়া বচ্চনকে। শুটিং চলাকালীন অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে আপাতত সুস্থই রয়েছেন মেগাস্টার।