কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে পাওনা টাকা না দেয়ায় একটি পরিবারকে ২৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয় গ্রামপুলিশ ও ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে অনুরোধ করেও তালা খোলাতে পারেননি। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা খুলে তাদের মুক্ত করে।
এ ঘটনায় কাশিয়ানী থানার রামদিয়া ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ওই পরিবার। রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার পরানপুর গ্রামের ইলিয়াস আলী মোল্যার স্ত্রী হেরা বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী মমতাজ বেগমের আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল।
এরই জেরে বৃহস্পতিবার বিকালে মমতাজ বেগম লোকজন নিয়ে হেরা বেগমের বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং হুমকি-ধামকি দেয়। পুনরায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে হেরার বাড়িতে গিয়ে হামলার চেষ্টা করে ওই গ্রামের মহিউদ্দিন মিন্টু, মমতাজ বেগম, টিপু মোল্যাসহ কয়েকজন। ওই সময় ভয় পেয়ে হেরা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা নিজ বিল্ডিংয়ের মধ্যে অবস্থান নেয়। পরে ওই বিল্ডিংয়ে প্রবেশের মূল গেট ও দুটি দরজায় তালা দিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে মমতাজ বেগমসহ তার সঙ্গীরা। এভাবে ২৪ ঘণ্টা কেটে যায়। ওই সময় গ্রামপুলিশ ভাষান মোল্যা ও ইউপি সদস্য রিজাউল মোল্যা ঘটনাস্থলে গিয়েও তাদের মুক্ত করতে পারেননি। এরপর শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা খুলে তাদের মুক্ত করে। এ ঘটনার পর থেকে ওই পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহিউদ্দিন মিন্টু বলেন, ‘আমি টাকা পাব না। আমার বড় ভাই হেরা বেগমের কাছে টাকা পাবে।
অনেকবার চাওয়ার পরও টাকা ফেরত দিচ্ছে না। এ কারণে তার বিল্ডিংয়ের তিনটি প্রবেশ দ্বারে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।’ ইউপি সদস্য রিজাউল বলেন, ‘বিষয়টি সমাধানের জন্য গত বৃহস্পতিবার রাতইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়া হয়েছিল।
দুপক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসা হবে। কিন্তু এর আগেই তাদের বিল্ডিংয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে পাওনাদাররা। যা মারাত্মক অন্যায় করেছে।’ কাশিয়ানী থানার রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাবুল আখতার বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’