জাকের সুপার মার্কেট : সংঘর্ষে সভাপতিসহ আহত ২

আগের সংবাদ

অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ : সীতাকুণ্ডের ‘সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে’ বিস্ফোরণে নিহত ৬, আহত আরো ২৫

পরের সংবাদ

জুনেই শেষ হবে দুর্যোগ আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ

প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলোচ্ছ¡াসের কবল থেকে নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করতে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের সুবিধা নিশ্চিতে ৯ জেলার ৭৬টি উপজেলায় একযোগে কাজ করছে সরকার। উপকূলীয় অঞ্চলের এ বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র প্রকল্পটি (এমডিএসপি) বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে বলে প্রকল্পসূত্র নিশ্চিত করেছে। চলতি বছরের জুনের শেষের দিকে এর কাজ শেষ হবে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক ও জিওবির সহায়তায় বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, ল²ীপুর ও নোয়াখালী- এই ৯টি উপকূলীয় জেলার ৭৬টি উপজেলায় এমডিএসপি বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- সুপার সাইক্লোন সিডরের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলোচ্ছ¡াসের হাত থেকে জনগণ এবং তাদের সম্পত্তিসহ গৃহপালিত জীবজন্তুর নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিতকরণ, প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও আশ্রয় কেন্দ্র ব্যবহারের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা ও বিভিন্ন সামাজিক এবং সরকারি কর্মসূচি যেমন- ইপিআই, এনজিও, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির উন্নয়নের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা। প্রকল্পটি ২০১৪ সালে অনুমোদিত হয়। চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলে প্রকল্পসূত্র জানিয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৫৫৬টি সাইক্লোন শেল্টার। এ সাইক্লোন শেল্টারগুলো শুধু বিপদগ্রস্ত মানুষের আশ্রয়ের জন্যই নয়, তা পরবর্তী সময়ে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার করা হবে। কাজের গুণগত মান বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা সরাসরি দেখাশোনা করছেন। এই সাইক্লোন শেল্টার হাজার হাজার বিপদগ্রস্ত মানুষের জানমালকে রক্ষা করবে।
বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র প্রকল্পের (এমডিএসপি) পরিচালক জাবেদ করিম ভোরের কাগজকে বলেন, আমাদের এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপার সাইক্লোন (সিডর), প্রাকৃতিক জলোচ্ছ¡াসের হাত থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত মানুষ এবং তাদের সম্পদসহ গৃহপালিত জীবজন্তুর নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা গড়ে তোলা। প্রকল্পের ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। প্রকল্পের অর্থের উৎস সম্পর্কে তিনি বলেন, জিওবির ১০ কোটি টাকা ও বাকি টাকা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পের কাজের কত শতাংশ শেষ হয়েছে জানতে চাইলে প্রকল্পের পরিচালক বলেন, প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। আশা করি নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যেই শেষ হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়