উপাচার্য ড. মশিউর রহমান : সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে অপসংস্কৃতি রুখতে হবে

আগের সংবাদ

সংস্কারের বিরূপ প্রভাব বাজারে : আইএমএফের শর্ত মেনে গ্যাস-বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

পরের সংবাদ

৫ আসামিকে অব্যাহতি : দুদক কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ভুয়া রপ্তানি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় ৫ জনকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১২ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
প্রতারণামূলকভাবে ও ভুয়া রপ্তানি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মো. ইকবাল হোসেন সাতজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি সাতজনের মধ্যে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চার্জশিট দেন মো. ইকবাল হোসেন। এরপর গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিশেষ আদালত। অভিযুক্তদের মধ্যে সুলতানা ফাহমিদা অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

এ রুলের শুনানিতে ৫ জনকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. আসিফ হাসান। আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান খান ও পার্থ সারথি রায়। অব্যাহতি পাওয়াদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, পরস্পর যোগসাজশে জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে প্রতারণামূলকভাবে ও ভুয়া রপ্তানি দেখিয়ে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখায় ২৬টি বিল জমা দেয়া হয়। পরে ১৭টি বিলের বিপরীতে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১২৬ টাকা উত্তোলন করেন আসামিরা। এর মধ্যে ৩টি বিলের মূল্যসহ ও চতুর্থ বিলের আংশিক মূল্যসহ মোট পাঁচ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যাংকে ফেরত দেয়া হয় এবং অবশিষ্ট ১৪টি বিলের মূল্য ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৭১ টাকা ব্যাংকে ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। এ বিষয়ে দুদক সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরে সেই মামলায় ৫ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়