উপাচার্য ড. মশিউর রহমান : সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে অপসংস্কৃতি রুখতে হবে

আগের সংবাদ

সংস্কারের বিরূপ প্রভাব বাজারে : আইএমএফের শর্ত মেনে গ্যাস-বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

পরের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ : মিঠাপুকুরে সম্পত্তির লোভেই শাশুড়িকে হত্যা করে গৃহবধূ

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি : মিঠাপুকুরে গৃহবধূর বিরুদ্ধে শাশুড়িকে হত্যা ও সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মিঠাপুকুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত ব্যক্তির ছেলেরা। তারা সম্পত্তি আত্মসাৎ ও হত্যার অভিযোগে বিধবা ভাবির শাস্তি দাবি করেন। এছাড়া রংপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ী বন্দর এলাকার এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শফিউল ইসলাম, রাশেদুল হক, মোমেন পারভেজ, সামছুজ্জামান মোস্তফা ও তাদের স্ত্রী-সন্তান।
লিখিত বক্তব্যে নিহত ব্যক্তির ছেলেরা বলেন, আমরা ৫ ভাই, এক বোন। এর মধ্যে বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বিজু দীর্ঘদিন আগে মারা যান। তার বিধবা স্ত্রী নাজমিন আরা বেগমসহ আমাদের মা সামসুন্নাহার বেগম একত্রে শঠিবাড়ী বন্দর এলাকায় বসবাস করতেন। আমরা ব্যবসা ও চাকরির সুবাদে এলাকার বাইরে অবস্থান করি। এরই সুযোগে বড় ভাইয়ের বিধবা স্ত্রী নাজমিন আরা বেগম শঠিবাড়ী বন্দর এলাকার ১ একর ১২ শতক সম্পত্তি ও প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। বিষয়টি আমরা টের পেলে মায়ের কাছে জানতে চাই। এ নিয়ে একটি পারিবারিক সালিশ বৈঠক বসার কথা ছিল। ওই সালিশ বৈঠকের আগে আমরা জানতে পারি আমাদের মা মারা গেছেন। আমরা এসে লাশের নাকে-মুখে রক্ত দেখতে পাই। স্বাভাবিকভাবে লাশের দাফন সম্পন্ন করি।
সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন, মায়ের মৃত্যুর পর সব সম্পত্তি ও ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা নিয়ে উধাও হন বিধবা ভাবি নাজমিন আরা বেগম। খোঁজ-খবর করে ও দালিলিক কাগজপত্র উত্তোলনের পর আমরা বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাই। নাজমিন আরা বেগম আমাদের মায়ের নামে থাকা সব সম্পত্তি সাব কবলা করে এবং ব্যাংকে গচ্ছিত ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে নিহত ব্যক্তির ছেলে শফিউল ইসলাম বলেন, আমাদের মায়ের সব সম্পত্তি নিয়ে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তাকে সহযোগিতা করেছে ডা. রন্জু মিয়া, নাসিরুল ইসলাম, শাহিন মাস্টার ও খায়রুজ্জামান। খায়রুজ্জামান বিধবা ভাবি নাজমিন আরা বেগমের মামা ও মিঠাপুকুর সাব-রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনিই মূলত সম্পত্তিগুলো আত্মসাতের মূল হোতা। তারা আরো বলেন, আমরা এখন অসহায়। আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি ও বাড়িঘরগুলো নিয়ে গেছেন বিধবা ভাবি। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি। এ ঘটনায় রংপুর আমলি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে নাজমিন আরা বেগম, ডা. রন্জু মিয়া, নাসিরুল ইসলাম ও শাহিন মাস্টারকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়