উপাচার্য ড. মশিউর রহমান : সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে অপসংস্কৃতি রুখতে হবে

আগের সংবাদ

সংস্কারের বিরূপ প্রভাব বাজারে : আইএমএফের শর্ত মেনে গ্যাস-বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

পরের সংবাদ

চীনের শান্তি পরিকল্পনা ‘পূর্ণ সমর্থন’ বেলারুশের

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বেইজিংয়ের শান্তি পরিকল্পনায় ‘পূর্ণ সমর্থন’ দিয়েছে বেলারুশ। গত বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো সাক্ষাৎ করেন। সেখানে লুকাশেঙ্কো এ কথা বলেন।
লুকাশেঙ্কো রাষ্ট্রীয় সফরে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে যান। বেইজিং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে নিরপেক্ষ দল এবং আলোচনার আহ্বান জানানোর পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো এই সমর্থনের কথা জানান।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা না জানানোয় চীনের সমালোচনা করেছে পশ্চিমা দেশগুলো।
রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর এমন অভিযোগে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং।
বেইজিংয়ের দেয়া শান্তি পরিকল্পনা সন্দেহের চোখে দেখছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া এ পরিকল্পনায় স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু রাশিয়া বলেছে, এ মুহূর্তে এই যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব নয়।
বুধবার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, আজকের বৈঠকটি অত্যন্ত কঠিন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে এ বৈঠকে। লুকাশেঙ্কো চীনের প্রেসিডেন্টকে বলেন, তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত বিশ্বব্যাপী সংঘর্ষ প্রতিরোধ করা। এ কারণে বেলারুশ শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার উদ্যোগ এগিয়ে নিতে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।
চীনা একটি সূত্র বলছে, সি ওই বৈঠকে বলেছেন সব দলকে স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা পরিহার করতে হবে। তাদের ভারসাম্যপূর্ণ, কার্যকর ও স্থিতিশীল ইউরোপীয় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে। সি আরো বলেছেন, দেশগুলোর উচিত বিশ্ব অর্থনীতির রাজনীতিকরণ বন্ধ করা। তাদের এমন কিছু করা উচিত যা যুদ্ধবিরতি, যুদ্ধ বন্ধ এবং সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহায়তা করবে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সি বেশ কয়েকবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে সি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেননি।
ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশের সঙ্গেই বেলারুশের সীমান্ত রয়েছে। তবে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বেলারুশ পুতিন প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়