উপাচার্য ড. মশিউর রহমান : সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে অপসংস্কৃতি রুখতে হবে

আগের সংবাদ

সংস্কারের বিরূপ প্রভাব বাজারে : আইএমএফের শর্ত মেনে গ্যাস-বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

পরের সংবাদ

কমেছে এলসি খোলার হার

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : কমেছে এলসি খোার হার। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে আমদানির জন্য লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার পরিমাণ কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-জানুয়ারি মাসে এলসি খোলার পরিমাণ ছিল ৩৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২ অর্থবছরের একই সময়ের থেকে ২৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ বা ১৩ বিলিয়ন ডলার কম।
এ সময়ের মধ্যে পেট্রোলিয়াম ছাড়া মূলধনী যন্ত্রপাতি, ভোগ্যপণ্য, ইন্টারমিডিয়েট পণ্য এবং শিল্পের কাঁচামাল আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে মূলধনী যন্ত্রপাতির জন্য এলসি খোলা হয় ১ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারের, যা গত বছরের একই সময়ের মধ্যে ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন থেকে কম।
এদিকে গত জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি নয় মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ অবস্থানে নেমেছে। এ পতনের জন্য আমদানি হ্রাস এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে তারল্য সংকটকে দায়ী করেছেন ব্যাংকাররা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি জানুয়ারিতে ১২ দশমিক ৬২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত বছরের ডিসেম্বরে ছিল ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। তবে গত বছরের এপ্রিলের (১২ দশমিক ৪৮ শতাংশ) তুলনায় এটি বেড়েছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা বলেন- বেসরকারি খাতের ঋণের গ্রোথ কমার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো গত কয়েক মাস ধরে আমদানির পরিমাণ কমে গেছে। তারা বলেন- বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি বছরের শুরুতে ধীরগতিতে বাড়লেও শেষের দিকে যেয়ে তা বৃদ্ধি পায়। ২০২২ সালের আগস্টে বেসরকারি খাতের ঋণ বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত ১৪ দশমিক ১ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি।
এরপর সেপ্টেম্বরে তা কমে ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং গত বছরের অক্টোবরে ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশে নেমে আসে। তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো এখন ৮ শতাংশ পর্যন্ত আমানত নিচ্ছে এবং ৯ শতাংশহারে ঋণ দিচ্ছে। এতে চাপে রয়েছে তাদের লাভের মার্জিন। এদিকে জানুয়ারিতে ব্যাংকিং খাতে অতিরিক্ত তারল্য আগের মাসের তুলনায় ৮,১২৮ কোটি টাকা কমে ১,৩৭,৬০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুনে ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়