শালুক আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মিলন ১০ মার্চ

আগের সংবাদ

ই-টিকেটের নামে ‘ফাঁকিবাজি’ : টিকেট দিতে অনীহা কন্ট্রাকটরের, টিকেটের বিষয়ে যাত্রীরাও উদাসীন, মনিটরিং ব্যবস্থা অপ্রতুল

পরের সংবাদ

১৬ বছরেও উদ্বোধন হয়নি মনপুরা আবহাওয়া কেন্দ্র

প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সোহাগ মাহামুদ সৈকত, মনপুরা (ভোলা) থেকে : নির্মাণের ১৬ বছরেও উদ্বোধন হয়নি ভোলা জেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারটি। উদ্বোধন না হলেও দুই কর্মকর্তা ও দুই নিরাপত্তা প্রহরী অফিস না করেই বেতন তুলে নিচ্ছেন বছরের পর বছর। কোনো দুর্যোগ দেখা দিলে এই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মানুষের একমাত্র ভরসা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি তথা সিপিপির গণসচেতনতামূলক প্রচারের ওপর। এদিকে অজানা কারণে আধুনিক ৩ তলাবিশিষ্ট ভবন দুটি উদ্বোধন হচ্ছে না বলে মুঠোফোনে জানিয়েছেন খোদ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান।
সরজমিন দেখা গেছে, ২০০৬ সালে নির্মাণের পর থেকে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অফিসটি তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছে। বহু খোঁজাখুঁজির পর দেখা মেলে অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী আনসার সদস্য মো. আজাদের সঙ্গে। আজাদ জানায়, আবহাওয়া অফিসে দুজন নিরাপত্তা প্রহরীর একজন ছুটিতে রয়েছে। এছাড়া দুজন কর্মকর্তা রয়েছেন। কিন্তু ভেতরে গিয়ে ২ জন কর্মকর্তার মধ্যে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৬ সালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীনে আধুনিক যন্ত্রপাতির সুবিধাসম্পন্ন প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে দুই কর্মকর্তাকে এই অফিসে পদায়ন করা হয়। পদায়নের পর থেকে দুই কর্মকর্তাকেই দেখেননি বলে জানান এলাকাবাসী। শুধু মাস শেষে বেতন তুলে নিয়ে চলে যান তারা। এছাড়া কোনো প্রকার ঘূর্ণিঝড় কিংবা কোনো মহাদুর্যোগেও দেখা মেলে না এই কর্মকর্তাদের।
এদিকে মনপুরা অবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারটির পদায়নপ্রাপ্ত উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম অনেকদিন ধরে রাজশাহীতে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাকে উপজেলা পরিষদের কেউ চেনেন না বলে জানান। এছাড়া উপজেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারটিতে রয়েছে জনবল সংকট। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও উন্নত রাডার সিস্টেম সংযুক্ত থাকলেও উদ্বোধনের অভাবে মূলত অকার্যকর রয়েছে অফিসের কর্মতৎপরতা।
এ ব্যাপারে মনপুরা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, বহু বছর ধরে আমি মনপুরায় কর্মরত আছি। শুধু উদ্বোধনের অভাবে কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে কবে নাগাদ এই আবহাওয়া অফিসটি উদ্বোধন করা হবে সে ব্যাপারে কিছুই আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে মনপুরা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাকে প্রেষণে মনপুরায় পদায়ন করা হয়েছে। আমাদের এই আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারটি চট্টগ্রাম জোনের আওতায় রয়েছে। তাছাড়া এটি এখনো রাজস্ব খাতে উন্নিত হয়নি। কী কারণে অফিসটি উদ্বোধন করা হচ্ছে না তা উপরস্থ কর্মকর্তারা বলতে পারবেন। তবে উদ্বোধনের জন্য আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। মেয়ে অসুস্থ থাকায় তিনি বাড়িতে আছেন বলে স্বীকার করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) আল নোমান জানান, অজানা কারণে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারটি উদ্বোধন হচ্ছে না। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট উপরস্থ মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়