শালুক আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মিলন ১০ মার্চ

আগের সংবাদ

ই-টিকেটের নামে ‘ফাঁকিবাজি’ : টিকেট দিতে অনীহা কন্ট্রাকটরের, টিকেটের বিষয়ে যাত্রীরাও উদাসীন, মনিটরিং ব্যবস্থা অপ্রতুল

পরের সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকে নিউইয়র্ক ফেডের প্রতিনিধিদল

প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বৈশ্বিক অর্থনীতির চলমান অবস্থা নিয়ে গভর্নরের ধারণা কেমন, কীভাবে এগোচ্ছেন তা জানতে চায়
কাগজ প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম (দ্য ফেড) এর ৬ সদস্যর একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে গতকাল বুধবার বিকালে আসা ফেডের প্রতিনিধিদলে রিলেশনশিপ ও হিসাব সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা ছিলেন। বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সদস্যও ছিল বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
মেজবাউল হক সাংবাদিকদের জানান, তারা (নিউয়র্ক ফেড) আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন, এটি একটি ব্যাংক কল। ফেডের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি হিসাব সংরক্ষণ করা আছে, যেখানে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে আমাদের লেনদেন করা হয়। তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন লেনদেনে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। কী করলে সেবা আরো ভালো করা যায়- তা নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা যে ট্রানজেকশন (লেনদেন) করছি- এ বিষয়ে তাদের যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং (বোঝাপড়া) রয়েছে তা আমাদের কাছে বলেছেন বলেও জানান তিনি।
গভর্নরের সঙ্গে হওয়া আলোচনার বিষয়ে মেজবাউল হক বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির চলমান অবস্থা নিয়ে গভর্নরের ধারণা কেমন; আমরা কীভাবে এগোচ্ছি তা তারা জানতে চেয়েছেন। মূলত এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের কাছে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগই রয়েছে ফেডের হিসাবে। নগদ ও বিনিয়োগ আকারে এ অর্থ রাখা হয়েছে। এ হিসাব থাকা অর্থ থেকেই ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সুইফট সিস্টেমে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (ফেড) রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয় হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফটের সার্ভারে ম্যালওয়্যার পাঠিয়ে হ্যাকিং করে হ্যাকার দলটি। ওই অর্থ ফিলিপাইনের স্থানীয় মুদ্রা পেসোর আকারে চলে যায় ৩টি ক্যাসিনোতে। এর মধ্যে একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে ফিলিপিন্স সরকার বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দিলেও বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার আর পাওয়া যায়নি।
রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখের মধ্যে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার উদ্ধারে ২০২০ সালে মামলা করে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই মামলা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। সেই ঘটনায় সুইফট সিস্টেমের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এলেও ফেডের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধিদল আসেনি।
২০১৬ সালে রিজার্ভ চুরির ওই ঘটনা বাংলাদেশের মানুষে জানতে পারে এক মাস পর, ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যমের খবরে। তখন বিশ্বজুড়ে ঘটনাটি আলোড়ন তুলেছিল। ওই ঘটনার জেরে তখনকার গভর্নর আতিউর রহমানকে পদত্যাগ করতে হয়। দুই ডেপুটি গভর্নরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। কিন্তু রিজার্ভ সংরক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। রাজধানীর মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়; যার চূড়ান্ত প্রতিবেদন এখনো আদালতে জমা দেয়নি পুলিশ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়