শালুক আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মিলন ১০ মার্চ

আগের সংবাদ

ই-টিকেটের নামে ‘ফাঁকিবাজি’ : টিকেট দিতে অনীহা কন্ট্রাকটরের, টিকেটের বিষয়ে যাত্রীরাও উদাসীন, মনিটরিং ব্যবস্থা অপ্রতুল

পরের সংবাদ

পর্যটনে নতুন দিগন্ত রাঙ্গাবালীর চর হেয়ার ও সোনার চর

প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামরুল হাসান রুবেল, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) থেকে : প্রকৃতির অপার অপার সৌন্দর্যের দ্বীপ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চর হেয়ার ও সোনার চর। পাখির কলকাকলি আর লাল কাঁকড়ার বিচরণে মুখর থাকে জনশূন্য এই দ্বীপটিতে। রয়েছে সবুজের সমারোহ। একই স্থানে দাঁড়িয়ে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তও। কিন্তু অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পর্যটকরা। গড়ে উঠেনি হোটেল-রিসোর্টও। তবে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেয়া হলে পর্যটনে যোগ হবে নতুন দিগন্ত।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতের বালিয়ারীতে লাল কাঁকড়া দলের ছোটাছুটি। কেউ গর্ত থেকে বের হয়ে এদিক-সেদিক দৌড়াচ্ছে। আবার কেউ গর্তের মধ্য থেকে মাথা বের করে উঁকি দিচ্ছে। এমন খুনসুঁটিতে ব্যস্ত আট পা বিশিষ্ট লাল কাঁকড়া। রয়েছে রঙ বেরঙের অতিথি পাখি। বালি হাঁস, গাঙচিল ও সাদা বক ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়াচ্ছে সমুদ্র পাড়ে। রঙ বেরঙের অতিথি পাখির ঝাঁক বেঁধে ওড়াউড়ি। কিচিরমিচির শব্দে মুখর সৈকত। রয়েছে ঝাউবনসহ বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল।
রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি সিকদার জোবায়ের হোসেন জানান, চর হেয়ারে তিন কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত যায়। যা দেশের খুব কম সংখ্যক পর্যটন কেন্দ্র থেকে দেখা যায়। সারি সারি ঝাউবন আর বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল যে কারো মন কেড়ে নিবে। বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা বুড়াগৌড়াঙ্গ নদী তীরের দ্বীপ দুটি ভ্রমণপিপাসুদের মন কেড়ে নেবে। তাই এখানে সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার জন্য উদ্যোগ নেয়া জরুরি।
পটুয়াখালী-৪ (রাঙ্গাবালী-কলাপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান মহিব জানান, নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের এ দ্বীপকে মানসম্মত পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়তে সরকার নানা পরিকল্পনা নিয়েছে। এই দ্বীপ দুটি পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার জন্য চেষ্টা চলছে। পর্যটন মন্ত্রীর এখানে পরিদর্শনে আসার কথা রয়েছে।
ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ। এরপর সেখান থেকে ট্রলার বা স্পিডবোটে সহজেই পৌঁছানো যাবে দ্বীপটিতে। এছাড়া কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত ও পায়রাবন্দর থেকে ট্যুরিস্টবোটে সরাসরি যাওয়া যাবে চর হেয়ারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়